কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
দুরমুঠ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ অংশে পানীয় জলের সমস্যা বহুদিনের। এর মধ্যে বেলদা, পাঁচিড়িয়া, দইসাই (দক্ষিণ), গয়াগিরি, রত্নমালা, গুয়াগেছিয়া, বরুণাবেড়িয়া ও বেতালিয়ার একাংশে এই সমস্যা বেশি। কুসুমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের যশাবিশা, ফতেপুর, বহিত্রকুন্ডা, হৈবতপুর, কুসুমপুর, আলমপুর সহ আরও কয়েকটি গ্রামে পানীয় জলের অভাব রয়েছে। এই সমস্ত গ্রামই নন-টিউবওয়েল জোনে পড়ে। তাই গরমকালে জলস্তর নেমে যাওয়ায় সমস্যা দেখা দেয়। বাসিন্দাদের দূর থেকে জল সংগ্রহ করতে হয়।
বেলদা, পাঁচিড়িয়া, দইসাই(দক্ষিণ), গয়াগিরি, রত্নমালা এলাকায় মারিশদার পানীয় জলপ্রকল্প থেকে জল সরবরাহ হয়। কিন্তু বহু পুরনো সেই জলপ্রকল্পের কোথাও পাইপলাইন ফেটে গিয়েছে, কোথাও ট্যাপ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কুসুমপুরের একটি অংশে কেশুরকুঁদা জলপ্রকল্প থেকে পানীয় জল সরবরাহ হতো। সেই ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে। এলাকায় একাধিক নলবাহিত জলপ্রকল্প চালু হলেও সমস্যা মেটেনি। সম্প্রতি ‘জলজীবন মিশন’ প্রকল্পে নতুন পাইপলাইন পাততে গিয়ে অনেক জায়গায় পুরনো পাইপ ফেটে গিয়েছে। ফলে দুরমুঠ গ্রাম পঞ্চায়েতের নানা জায়গায় জলসঙ্কট দেখা দিয়েছে। শনিবার দুরমুঠের দইসাই গ্রামে গিয়ে দেখা গেল, একটি মোটরভ্যান থেকে লাইন দিয়ে পানীয় জল নিচ্ছেন এলাকার মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দা মহাদেব রাণা বলেন, পাইপলাইনে জল না এলে দুই কিমি দূরে দইসাই বাসস্টপ থেকে নলকূপের জল বয়ে আনতে হয়। বাড়ি বাড়ি জল সরবরাহ প্রকল্পের সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন চাই। এলাকার সিপিএম নেতা ঝাড়েশ্বর বেরা বলেন, শাসকদল এবং রাজ্য সরকার আশ্বাস দিলেও দুরমুঠ-কুসুমপুর এলাকায় পানীয় জলের সঙ্কট মেটাতে পারেনি।
বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডল বলেন, তৃণমূল সরকার শুধু প্রতিশ্রুতি দেয়। কাজের কাজ কিছু করে না। আমরা প্রচারে এটাই মানুষকে বলছি। স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিকাশ বেজ বলেন, জলজীবন মিশন প্রকল্পে তো কাজ চলছেই। এছাড়া, দুরমুঠ গ্রাম পঞ্চায়েতের বরুণাবেড়িয়া, রত্নমালা, কুসুমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভেকুটিয়া ও মারিশদা পঞ্চায়েতে নোনা জল থেকে পানীয় জল তৈরি হবে। প্রকল্পের কাজ চলছে। তা শেষ হলে এই সমস্যার ১০০ শতাংশ সমাধান হবে। এছাড়া, প্রতি বছর গরমকালে জলের সঙ্কট দেখা দিলে পঞ্চায়েত সমিতির তরফে মোটরভ্যানে ঘুরে প্রতিদিন ১০হাজার লিটার পানীয় জল সরবরাহ করা হয়। আমরা প্রচারে বেরিয়ে মানুষকে এসমস্ত বিষয় জানিয়েছি।