কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, শান্তিনিকেতন থানার গোয়ালপাড়ায় বহু যুগ ধরে মহাসামরোহে ধর্মরাজের পুজো হয়ে আসছে। রবীন্দ্র স্মৃতিবিজড়িত কোপাই নদীর পাশেই রয়েছে এই গ্রাম। বর্তমানে এখানকার অধিকাংশ বাসিন্দা হিন্দু ও কৃষিজীবী। তবে একটা সময় এই এলাকায় অধিকাংশ মানুষই গোয়ালা ছিলেন। তাই এই গ্রামের নাম গোয়ালপাড়া বলে পরিচিত। কথিত আছে, গ্রামের একটি গাভী চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে একটি পাথর খণ্ডের উপর দুগ্ধ বর্ষণ করছিল। পরবর্তীকালে গ্রামবাসীদের অনেকেই স্বপ্নাদেশে জানতে পারেন, ওই পাথর খণ্ডটি আসলে ধর্মরাজের মূর্তি। তারপর থেকেই গোয়ালপাড়া গ্রামে ধর্মরাজ পুজোর প্রচলন হয়। এছাড়াও নানা ধরনের জনশ্রুতি রয়েছে। বর্তমানে এই পুজো উৎসবের চেহারা নিয়েছে। গ্রামে ধর্মরাজের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করে মন্দির স্থাপন করা হয়েছে। তবে মূল পুজো ও বলিদান পুরনো জায়গাতেই হয়ে আসছে। এটি অনার্যদের পুজো, তাই আদিবাসী, হিন্দু সহ সকলস্তরের মানুষজন এই পুজোয় স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। বীরভূম ছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে মুর্শিদাবাদ, বর্ধমানের ঢাকিরাও ভক্তিভরে বছরের পর বছর অংশগ্রহণ করছেন।
তিনদিনের এই পুজোয় প্রথম দিন ভক্তরা ক্ষৌরকর্মের মাধ্যমে নিজেদের শুদ্ধিকরণ করেন। যা ভক্তকামান নামে পরিচিত। পরের দিন পুকুরে হয় মুক্ত স্নান। তবে শেষ দিনে মূল পুজো অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবারই ছিল শেষ দিন। সেই উপলক্ষ্যে প্রতিবছরের মতো এবারও বীরভূম ও প্রতিবেশী জেলা থেকে প্রায় ৬০০ জন ঢাকি এবং ঢোলক বাদক উৎসবে যোগদান করতে এসেছিলেন। পুজো প্রাঙ্গণে ঢাকিরা সমবেত হয়ে ঢাক বাজালে কার্যত মেঘের গর্জনের সৃষ্টি হয়। এরপর দুপুরে জলের ঘট ভরে ফের গ্রাম পরিক্রমা হয়। যা ভাড়াল নাচ বলে পরিচিত। এরপর পাঁঠা ও শুয়োর বলি দিয়ে পুজো সম্পন্ন হয়।
এই উৎসবে মন্ত্রী থেকে শুরু করে স্থানীয় তৃণমূল নেতা কর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে গত তিনদিনে বিজেপির প্রার্থী প্রিয়া সাহা সহ কোনও নেতাকর্মীকেই দেখা যায়নি। এপ্রসঙ্গে বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল বলেন, তৃণমূল সারা বছরই মানুষের পাশে থাকে। এটা আমাদের সংস্কৃতি। আসলে বিজেপি একটি পরিযায়ী পাখির দল। যাদের শুধুমাত্র ভোটের সময় দেখা যায়।
বিজেপি প্রার্থী প্রিয়া সাহা বলেন, এদিন মনোনয়ন জমা দেওয়ার কারণে যেতে পারিনি। তবে গ্রামবাসীদের সঙ্গে অবশ্যই দেখা করতে যাব।