কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
ইতিমধ্যেই মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর্ব শেষ হয়েছে। স্ক্রুটিনির পর দেখা যাচ্ছে মূল তিনটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ছাড়াও এখানে লড়াই করছে বিভিন্ন দল। সাজাহান বিশ্বাস দাঁড়িয়েছেন আইএসএফ থেকে। তিনি সূতির তৃণমূল বিধায়ক ঈমানি বিশ্বাসের দাদা। নির্বাচনে কতটা প্রভাব ফেলতে পারেন তিনি, সেটাই এবার দেখার। এছাড়া সারাউল ইসলাম সরকার বহুজন সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী হয়েছেন। রাজীব চট্টোপাধ্যায় লড়ছেন ভারতীয় লোকমত রাষ্ট্রবাদী পার্টির সদস্য হয়ে। এসইউসি-এর সামিরুদ্দিন ও ভারতীয় জাওয়ান কিষান পার্টির সানাউর আলি মনোনয়ন জমা করেছেন। এছাড়া এসডিপিআইয়ের মহম্মদ সাহাবুদ্দিন লড়ছেন। এছাড়াও পাঁচজন নির্দল প্রার্থী লড়াই করছেন বলে জানা গিয়েছে। মহম্মদ আসাদুল বিশ্বাস, আশিস ভুই মালিক, পরিমল ঘোষ, মুক্তিপদ কোনাই ও রেজাউল মণ্ডল প্রত্যেকেই এক একটি প্রতীক নিয়ে জঙ্গিপুর লোকসভায় নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে ভোট প্রচারের ময়দানে তৃণমূল, বিজেপি, বাম-কংগ্রেস ও আইএসএফ ছাড়া কাউকে সেভাবে দেখা যাচ্ছে না। তৃণমূল বিধায়কের দাদা হয়ে আইএসএফের প্রার্থী হওয়ায় সাজাহান সাহেব কিছুটা ভোটে প্রভাব ফেলতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও লড়াই মোটেই কঠিন নয় বলে দাবি করেছেন তৃণমূল প্রার্থী।
খলিলুর সাহেব বলেন, যতজনই ভোটে দাঁড়াক না কেন, মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ভোট দেবেন। ফলে জয় আমার নিশ্চিত। এখন ব্যবধান নিয়ে একটু ভাবতে হচ্ছে। আইএসএফ কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না। বিজেপি এবং বাম-কংগ্রেস জোটকে মানুষ ভালো চোখে দেখছে না। ফলে প্রচারে গিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, যুবশ্রী, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা, জয় জোহার, মানবিক সহ নানা প্রকল্পের কথা তুলে ধরছি। মানুষ নিজের চোখে দেখতে পাচ্ছেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী কী করেছেন। মানুষের জীবনযাত্রার মান আগের থেকে কত ভালো হয়েছে। তাই তৃণমূলের পক্ষেই অধিকাংশ মানুষ নিজের ভোট দেবেন।
কংগ্রেস প্রার্থী বলেন, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের উপর মানুষ বীতশ্রদ্ধ। কংগ্রেস আগামী দিনে পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য যে সমস্ত প্রকল্পের কথা ভেবেছে, আমাদের ইস্তেহারে তা উল্লেখ করা হয়েছে। আমরা সেকথা মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। মানুষ আমাদের কথা শুনছেন ও প্রচারে ভালো সাড়া মিলছে। বিজেপি প্রার্থী বলেন, মোদির বিকাশের উপর মানুষ ভরসা রাখবেন বলে আমরা আশাবাদী। তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষের সব কা সাথ, সবকা বিকাশ, এই ইস্যুতেই ভোট হচ্ছে। আমাদের জয় হবেই।