কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
ব্যবসায়ীরা জানালেন, ঈদে মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেকেই কিছু না কিছু ইলেকট্রনিকস জিনিস ঘরে তোলেন। এবার প্রচণ্ড গরম পড়ায় বেশিরভাগ মানুষেরই প্রথম পছন্দ ছিল এসি বা ফ্রিজ। নববর্ষেও অনেকেই এসি, ফ্রিজ কিনেছেন। একসময় সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবার এসি কিনত না। কিন্তু গত দু’বছর ধরে প্রচণ্ড গরমের জেরে বহু মানুষ এসি কেনার দিকে ঝুঁকছেন। বিভিন্ন ফিন্যান্স কোম্পানি কিস্তির সুবিধা করে দেওয়ায় এসি, ফ্রিজের চাহিদা বেড়েছে বলেও ব্যবসায়ীরা জানালেন।
চৈত্রের শুরু থেকেই মাথার উপর সূর্যের তেজ বাড়ছিল। এখনও বেলা গড়াতেই তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ উপরে উঠছে। গত কয়েকদিনে মুর্শিদাবাদে তাপমাত্রার পারদ ৪০-৪১ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাঘুরি করেছে। প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করছেন মানুষ। দৌলতাবাদ থেকে বহরমপুরে এসে ফ্রিজ কিনে নিয়ে গিয়েছেন মনসুর হাবিব। তিনি বলেন, রমজান মাসে সারাদিন উপোস থাকার পর সন্ধ্যায় ঠান্ডা পানীয় দিয়ে গলা ভেজাতে মন চাইত। রোজ রোজ প্রতিবেশীর দরজায় কড়া নাড়তেও ভালো লাগত না। তাই ঈদের পোশাকের খরচ থেকে কাটছাঁট করে ফ্রিজ কিনে নিয়েছিলাম।
সূর্যের তাপে ফ্যানের নীচে থেকেও মানুষ স্বস্তি পাচ্ছেন না। টেবিল ফ্যান হোক বা সিলিং ফ্যান, গরম হাওয়া শরীরের ঘাম দূর করতে পারছে না। এই আবহাওয়ায় এসির চাহিদা বাড়ছে। বহরমপুরের লালদিঘি পাড় এলাকার ব্যবসায়ী প্রতিম মণ্ডল বলেন, একসময় এসি বহু মানুষের নাগালের বাইরে ছিল। তবে বিভিন্ন ফিন্যান্স কোম্পানি বাজারে আসায় এসি এখন মধ্যবিত্তদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। বিক্রিও বহুগুণ বেড়েছে। এক সপ্তাহেই ফ্রিজ, এসির চাহিদা দ্বিগুণ বেড়েছে। বিক্রি বাড়াতে প্রায় প্রত্যেক দোকানদার আকর্ষণীয় অফার ঘোষণা করেছেন। এসি বিক্রেতা অনুপ মণ্ডল বলেন, নববর্ষের পরও প্রচুর এসি বিক্রি হচ্ছে। এবার শীতের মতো গরমও লম্বা ইনিংস খেলবে বলে মনে হচ্ছে। ফলে এসি ভালোই বিক্রি হবে বলে আশা করছি।