কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
১৯৬৮সালে মিস ইয়াং ইন্ডিয়ার মুকুট মাথায় উঠেছিল পুনম চন্দ্রিরামানির। সুন্দরী পুনমকেই বিয়ে করেন তৎকালীন বলিউড সুপারস্টার শত্রুঘ্ন সিনহা। এরপর পুনম একাধিক সিনেমায় অভিনয়ও করেছেন। যোধা আকবর সিনেমার সম্রাট আকবরের মা মালিকা হামিদা বানু বেগমের অভিনয় করে নজর কাড়েন। শুধু তাই নয়, এবছরই প্রথমবার ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছেন শত্রুঘ্ন। শত্রুঘ্ন অভিনীত একটি ওয়েব সিরিজে সহ অভিনেত্রী পুনম। মঙ্গলবার মনোনয়ন প্রক্রিয়ায়ও শত্রুঘ্নর যোগ্য সহধর্মিণীর ভূমিকায় দেখা গেল তাঁকে। সাতসকালে উঠে আরাধ্য দেবতার পুজো করেছেন তিনি। এরপর স্বামীর কপালে বিজয় টিকা পরিয়ে রওনা হন। স্বামী যখন মন্ত্রী-বিধায়কদের সঙ্গে হুডখোলা জিপে, তার পিছনেই হুডখোলা গাড়িতে ছেলেদের সঙ্গে দেখা যায় অভিনেত্রী পুনম সিনহাকে। মনোনয়নের টেবিলেও স্বামীর ডান পাশের চেয়ারেই বসেন তিনি। জেলাশাসকের হাতে স্বামী কাগজপত্র তুলে দেওয়ার আগে শেষ মুহূর্তের ‘স্ক্রুটিনি’ করে নেন একদা রাজনাথ সিংয়ের বিরুদ্ধে ভোটে লড়াই করা পুনম। তিনি বলেন, আসানসোল লোকসভাজুড়ে তৃণমূলের প্রবল ঝড় বইছে। সেখানে অন্য কেউ টিকতে পারবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি মহিলাদের সমর্থন চোখে পড়ার মতো।
আলুওয়ালিয়ার স্ত্রী মনিকাদেবী গৃহবধূ। তিনি হাসিমুখে এদিন সবার মন জয় করেছেন। সকালে শিখ সম্প্রদায়ের রীতি মেনে স্বামীর জয় কামনা করে প্রার্থনা করেছেন। স্বামী ও দুই পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন কেন্দ্রে আসেন। মনোনয়ন টেবিলে বিজেপি নেতাদের না রেখে আলুওয়ালিয়া বাঁ-পাশের চেয়ারে স্থান দেন মনিকাদেবীকে। মনোনয়নের টেবিলে ছিলেন তাঁদের ছেলে রৌনকজিৎ আলুওয়ালিয়া। মনিকাদেবী রানিগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বড় দিদি। তিনি বলেন, প্রতিদিন রাতে ফোন করে সোনা(তাপসবাবুর ডাক নাম) বাড়ি ফিরেছে কিনা খবর নিই। মা নেই, আমিই তো ওর বড় দিদি। আমি নিজে রাজনীতি করি না। রাজনীতির মধ্যে ঢুকি না। আমি অবশ্যই চাইব স্বামী এখানে ভালো ভোটে জিতে উন্নয়ন করুক। এদিন আলুওয়ালিয়া খোঁচা দিয়ে বলেন, শত্রুঘ্ন সিনহার স্ত্রী পুনম সিনহা তো সমাজবাদী পার্টির টিকিটে ২০১৯ সালে রাজনাথ সিংয়ের বিরুদ্ধে লক্ষ্মৌয়ে লড়াই করেছিলেন। উনি হেরে গিয়েছিলেন।