কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ
দুর্গাপুর বা মেজিয়ার দিক থেকে আসা বড় গাড়িগুলিকে কেরানিবাঁধ থেকে তামলিবাঁধ, লোকপুর, পুয়াবাগান হয়ে ধলডাঙায় পাঠানো হচ্ছে। একই রুট ধরে বিষ্ণুপুর, খাতড়া বা সিমলাপালের দিক থেকে আসাগাড়িগুলিকে কেরানিবাঁধে নিয়ে আসা হচ্ছে। ছোটগাড়িগুলিকে স্টেশনমোড় রেলগেটের কাছ দিয়ে এক্তেশ্বরের কাছে তোলা হচ্ছে।
বাঁকুড়ার জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ বলেন, উড়ালপুলে সমস্যার বিষয়টি নজরে আসার পরেই আমরা বিষয়টি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এদিন মেরামতির কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। তাই আপাতত জাতীয় সড়কের সমস্ত যানবাহন শহরের ভিতর দিয়ে যাতায়াত করছে।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের বাঁকুড়া স্টেশনের কাছেই ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক রেললাইন অতিক্রম করেছে। কয়েক বছর আগেও রেলগেট দিয়েই সমস্ত যানবাহন চলাচল করত। দীর্ঘক্ষণ গেট পড়ে থাকায় জাতীয় সড়কে গাড়ির লম্বা লাইন লেগে যেত। সমস্যা দূর করতে ২০১৪ সালে উড়ালপুল নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। তারপর ২০১৭ সালে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর উড়ালপুলটি ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হয়। তবে যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ব্রিজের উপরের রাস্তা উঁচুনিচু হয়েছিল। তার উপর দিয়েই বালি, পাথর সহ বিভিন্ন ধরনের ওভারলোডেড গাড়ি যাতায়াত করছিল। জয়েন্টের কাছের গর্তে কোনও ভারী গাড়ির চাকা পড়ায় পাতটি ভেঙে গিয়েছে বলে পূর্ত দপ্তরের কর্তারা মনে করছেন।
তবে চালু হওয়ার বছর তিনেকের মধ্যেই এই ধরনের ঘটনায় উড়ালপুলের নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত সামগ্রীর গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ময়রাবাঁধ এলাকার বাসিন্দা জয়দেব বাউরি বলেন, কোটি কোটি টাকা খরচ করে এই উড়ালপুল তৈরি করা হল। জাতীয় সড়কের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় পণ্যবাহী ভারীগাড়ি যাতায়াত করবে জেনেই কাজ করা হয়েছে। কিন্তু, তিন বছরের মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটে গেল। এর থেকেই বোঝা যায়, উড়ালপুল তৈরিতে কোনও ত্রুটি রয়েছে কিংবা নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে।