কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ
এবিষয়ে কাটোয়া মহকুমা খাদ্য নিয়ামক দেবলীনা ঘোষ বলেন, আগেই রেশন কার্ড হাতে না পাওয়া মানুষদের রেশন বিলি করা হচ্ছিল। কিন্তু সেখানে তাঁরা কেরোসিন পেতেন না। এবার থেকে ফুড কুপন দেখালে তাঁরাও কেরোসিন তেল পাবেন। চলতি মাস থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।
মহকুমা খাদ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউনে গৃহবন্দি বাসিন্দাদের রেশনে খাদ্যসাথী প্রকল্পের সামগ্রী বিলির জন্য ফুড কুপন বিলি করা হয়েছে। কাটোয়া মহকুমার পাঁচটি ব্লকে মোট দুটি ধাপে ৩৯ হাজার ৮৪০ জন মানুষকে কুপন বিলি করা হয়েছিল। এবার তাঁদের প্রত্যেককে কেরোসিন বিলি করা হবে। এনিয়ে রাজ্য খাদ্যদপ্তর থেকে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে মহকুমায়। লকডাউনে গৃহবন্দি বাসিন্দাদের খাদ্যসাথী প্রকল্পে রেশনে খাদ্যসামগ্রী বিলি করার কাজ চলছে। তাছাড়া রাজ্যজুড়ে অন্ত্যোদয় যোজনা, পিএইচএইচ, এসপিএইচএইচ এবং আরকেএসওয়াই-১ এর অধীনে উপভোক্তাদের বিনামূল্যে চাল, গম, আটা দেওয়ার কাজ চলছে। এছাড়াও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দপ্তরের অফিসারদের নির্দেশ দিয়েছেন, রেশন কার্ড যাঁদের নেই, তাঁদেরও খাদ্যসামগ্রী দিতে হবে। সেক্ষেত্রে লক ডাউনের এই পরিস্থিতির জন্য সাময়িকভাবে তাঁদের বিশেষ কুপন ইস্যু করার কথা বলা হয়। এরপরই ফুড কুপন বিলি করা হয়েছিল।
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’ধরনের বাসিন্দাদের এই ফুড কুপন দেওয়া হয়েছে। যাঁদের রেশন কার্ড ছাপা হয়ে গিয়েছে, কার্ড পাঠানো হয়নি এরকম বাসিন্দাদের খাদ্যসামগ্রী বিলির জন্য ফুড কুপন দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, যাঁরা রেশন কার্ডের জন্য অনলাইনে আবেদন করেছিলেন, ওই আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। অথচ তাঁদের কার্ড লকডাউনের জেরে এখনও ছাপা হয়নি। তাদেরও ফুড কুপন বিলি করা হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, এই ফুড কুপনগুলি ব্লক এলাকার ক্ষেত্রে বিডিওরা এবং পুরসভার ক্ষেত্রে মহকুমা শাসক নিজে ইস্যু করেছেন।
কাটোয়া মহকুমার দুই পুরসভা সহ পাঁচটি ব্লকে মোট ২৯৫টি রেশন দোকানেই রেশন সামগ্রী বিলির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন ফুড কুপন পাওয়া লোকজনদের চাল, গম দেওয়া হলেও তাঁরা কেরোসিন পেতেন না। এবার থেকে রাজ্যের নির্দেশে কেরোসিনও মিলবে।
এদিকে সুষ্ঠুভাবে রেশন সামগ্রী বিলি হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখতে প্রতিদিনই খাদ্যদপ্তরের আধিকারিকরা রেশন দোকানগুলিতে ঘুরছেন। সামাজিক দূরত্ব মেনেই দোকানদাররা রেশন সামগ্রী বিলি করছেন। তাছাড়া পুরনো রেশন কার্ড আছে এমন গ্রাহকদেরও খাদ্যদ্রব্য বিলি করার জন্য প্রক্রিয়া চালাচ্ছে খাদ্যদপ্তর।