কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ
এদিন বিকেল ৩টে থেকে হলদিয়ায় ঝড়ের তীব্রতা বাড়তে থাকে। বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার(প্রশাসন) অমল দত্ত বলেন, হলদিয়ার উপর দিয়ে ১৫০-১৬০কিলোমিটার বেগে ঝড় বইছে। এত ভয়ঙ্কর ঝড় গত কয়েক দশকে হলদিয়া দেখেনি। বন্দরের ডকে দাঁড়িয়ে থাকা জাহাজগুলি নিয়ে চিন্তা রয়েছে। এগুলিকে বেঁধে রাখা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু ঝড়ের দাপটে কী ঘটবে কেউ জানে না। তবে হলদিয়ার টাউনশিপ আবাসন এলাকার প্রায় সমস্ত বড় গাছ পড়ে গিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ঝড়ের গতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হলদিয়ার টাউনশিপে বড় বড় কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, জারুল, ছাতিম, শাল, সেগুন, ইউক্যালিপটাস গাছ পড়তে শুরু করে। ঘণ্টা দু’য়েকের মধ্যেই টাউনশিপ ও লাগোয়া এলাকায় শ’য়ে শ’য়ে গাছ উপড়ে পড়ে। আবাসনের বাসিন্দা প্রদীপ বিজলি, স্থানীয় বাসিন্দা সুবীর মণ্ডল বলেন, এমন ঝড়ের তাণ্ডব আগে কখনও দেখিনি। চোখের সামনে বড় বড় গাছ উপড়ে পড়ল। ঝড়ে উড়ে গিয়েছে বড় গাছের ভাঙা ডাল। সন্ধ্যা গড়াতেই অন্ধকারের মধ্যে ঝড়ের গোঁ গোঁ শব্দ ছাড়া কিছু শোনা যায়নি।
ঝড়ের মধ্যে রাস্তার গাছ কাটতে গিয়ে এদিন বিপদে পড়ে পুরসভার কুইক রেসপন্স টিম। পুর কাউন্সিলার দীপক পণ্ডা বলেন, গাছ কাটতে গিয়ে আমাদের গাড়ি দু’টি ভেঙে পড়া গাছের মধ্যে আটকে যায়। চোখের সামনে গাছ দু’টি ভেঙে পড়ল। আমরা কোনওভাবে বেঁচে গিয়েছি।
হলদিয়া পুরসভা, হলদিয়া ও সুতাহাটা ব্লক এবং মহিষাদল মিলিয়ে এদিন সাত হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনে প্রশাসন। তবে পুর এলাকা ও সুতাহাটায় করোনার ভয়ে প্রথমদিকে বস্তিবাসী মানুষজন রেসকিউ সেন্টারে না যেতে চাওয়ায় বিপাকে পড়ে পুর কর্তৃপক্ষ, পুলিস ও ব্লক প্রশাসন। শেষমেশ ঝড় বাড়তে শুরু করায় পুলিসের চাপে পড়ে তাঁরা রেসকিউ সেন্টারে যান। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ছ’টি রেসকিউ সেন্টারে দেড় হাজারের বেশি মানুষকে তুলে এনে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। দুপুরে তাঁদের রান্না করা খাবার দেওয়া হয়।
সুতাহাটা ব্লকের কুকড়াহাটির হুগলি নদী তীররর্তী এড়িয়াখালির ভাঙন বিধ্বস্ত এলাকা থেকে মানুষজনকে সরিয়ে কুকড়াহাটি স্কুলে তুলে আনে পুলিস। স্থানীয় বাসিন্দা বিজয় দাস বলেন, নদী ভয়ঙ্কর উত্তাল অবস্থায় রয়েছে। রাতে বাঁধ ভাঙলে গ্রাম প্লাবিত হতে পারে। পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তাপস মাইতি বলেন, ব্লকজুড়ে ন’টি রেসকিউ সেন্টারে সতেরোশো মানুষকে তুলে এনে রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, মহিষাদল ব্লকজুড়ে ঝড়ের তাণ্ডবে বহু গাছ উপড়ে পড়ে। গাড়ির উপর গাছ পড়ে নষ্ট হয়। পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তিলক চক্রবর্তী বলেন, মায়াচর দ্বীপ সহ পাঁচটি নদী তীরবর্তী পঞ্চায়েতের প্রায় চার হাজার মানুষকে উদ্ধার করে রান্না খাবার দেওয়া হয়েছে।