প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ৩৩ জনের মধ্যে ৩০ জনই বিদেশি। এর মধ্যে ১১ জন ইন্দোনেশিয়ার এবং ১৯ জন বাংলাদেশের বাসিন্দা। বাকি তিনজন অসমের বাসিন্দা। আসানসোলে প্রশাসনের তরফে সরকারিভাবে তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। পশ্চিম বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (২) অনুরাধা দে বলেন, এদিন ওই ৩৩ জনকেই আসানসোল থেকে কলকাতায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
তবে এই লকডাউনেও দুর্গাপুরের বিভিন্ন বাজারে এখনও সাধারণ মানুষের প্রচুর ভিড় দেখা যাচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়াও বহু মানুষ রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বাজার ও দোকানে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার কথাও অনেকে মানছেন না। এদিন কালনা থেকে দক্ষিণ দিনাজপুরের ৭৫ জন শ্রমিক হেঁটে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। গুসকরা ফাঁড়ির পুলিস তাঁদের আটকায়। তারপর তাঁদের কালনাতেই ফেরানোর প্রস্তুতি শুরু হয়। লকডাউনে সীমান্তও সিল করে দেওয়া হয়েছে। বর্ধমান সহ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার ধারে প্রচুর লরি দাঁড়িয়ে রয়েছে। আশপাশের হোটেল বন্ধ হওয়ায় লরিচালক ও খালাসিরা রাস্তার ধারেই সংসার পেতেছেন। সেখানেই চলছে রান্না এবং খাওয়া-দাওয়া।
এদিকে, কেবলমাত্র করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য কাঁকসার মলানদিঘি এলাকায় একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রশাসন। সেই সঙ্গে দুর্গাপুরের ডিএসপি হাসপাতালের একাংশ নেওয়ারও প্রস্তুতি চলছে।
রেশন নিয়ে ক্ষোভ: এদিন মেমারির কেন্না এলাকায় পর্যাপ্ত রেশন না পেয়ে গ্রাহকরা ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। অনিয়ম রুখতে এদিন দুর্গাপুর পুরসভার মেয়র পরিষদ সদস্য অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় একটি রেশন দোকানের গোডাউনে অভিযান চালান। তবে, সেখানে কিছু অনিয়ম মেলেনি।
করোনায় সাহায্য: মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে শিল্পাঞ্চলের আইএনটিটিইউসির কয়লা খাদান শ্রমিক কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। আসানসোল বাস অ্যাসোসিয়েশন ও দুর্গাপুর মিনি বাস মালিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বাসকর্মীদের খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্ধমানের কামারকিতা শ্রী রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ সেবা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার ৩৫০ গরিব ও দুঃস্থ পরিবারের হাতে ত্রাণের সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।