বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
এদিকে কিছুদিন আগেই গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, বিজেপিতে যাওয়া প্রসঙ্গে মিহিরবাবুর সঙ্গে তাদের সদর্থক আলোচনা হয়েছে। যদিও মিহিরবাবু সেই আলোচনার কথা স্বীকার করেননি। তবে মিহিরবাবুর বিজেপিতে যোগদান করার সম্ভবনা প্রসঙ্গে শহরে চর্চা রয়েছে। সামনেই বিধানসভা ভোট। এ সময় মিহিরবাবু যদি বিজেপিতে যোগদান করেন, তাহলে দলের পক্ষে ক্ষতি হতে পারে। আবার বিজেপি যদি মিহিরবাবুর মতো পোড় খাওয়া রাজনৈতিক নেতাকে ভোটের আগে দলে যোগ দেওয়াতে পারে, তাহলে আখেড়ে তাদেরই লাভ হবে। এই সমীরকণের মাঝেই মিহিরবাবুকে দলে ধরে রাখতে তৃণমূল আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে বলে মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল। বুধবার মিহিরবাবু বলেন, আমার যেটা সঠিক মনে হয়েছে সেটা আমি বলেছি। দল যা চিন্তাভাবনা করবে সেটা দলের বিষয়। আমার বাড়িতে প্রতিবছরই দলমত নির্বিশেষে মানুষ বিজয়া করতে আসেন। এবারও অনেকে এসেছেন। পার্থবাবু বলেন, বিষয়টি ওঁকে ধরে রাখা বা না রাখার নয়। মিহিরবাবু আমাদের দলের বর্ষীয়ান নেতা। দীর্ঘদিন ধরে দল করছেন। তিনি আমাদের দলের সঙ্গেই রয়েছেন। আমাদের সঙ্গেই থাকবেন। বাকি ওঁর যে বক্তব্য বা মতামত সেই প্রসঙ্গে যা বলার রাজ্য নেতৃত্ব বলবে।
কোচবিহারে তৃণমূলের পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি ও ব্লক সভাপতিদের নামের তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মিহিরবাবু। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মিহিরবাবু দলের সমস্ত সাংগঠনিক পদ থেকে নিজেকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন। ওই ঘটনার দিন কয়েক পরেই তিনি মন্তব্য করেছিলেন, কোনও রাজনৈতিক দল কোনও ঠিকাদার সংস্থাকে দিয়ে চালাতে গেলে সেই সংগঠনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা একশো শতাংশ। সংগঠনের কাজ সংগঠনের কর্মীরাই করবেন। কোনও ঠিকাদার সংস্থা যদি দল পরিচালনা করার ক্ষেত্রে নির্দেশ দেয় তাহলে দলের ভালো হয় না। কার্যত পিকের টিমকে উদ্দেশ্য করে এই ধরনের মন্তব্য করার পরেও দল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। ব্লক সভাপতিদের নাম ঘোষণার পর দলের সমস্ত সাংগঠনিক পদ থেকে তাঁর অব্যবহতি নেওয়ার ঘটনাতেও জেলা স্তরে দল মন্তব্য করতে চায়নি। পিকের টিমকে নিশানা করে মন্তব্যের পরেও জেলায় দল সুকৌশলে সেই প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবারও তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক সহ কয়েকজন নেতা মিহিরবাবুর বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। এর থেকেই অনেকে মনে করছেন ‘বিদ্রোহী’ মিহিরকে দলে ধরে রাখতে মরিয়া তৃণমূল।