কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
বিশ্বের ত্রাস করোনায় থাবায় বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গও। রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের মতো এখানেও মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লাগাতার লড়াই চালাচ্ছে স্বাস্থ্যদপ্তর। এজন্য প্রতিটি জেলায় কোভিড হাসপাতাল, সেফ হোম, সিসিইউ প্রস্তুত করা হয়েছে। দু’দফায় স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকরা হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেছেন। এবার মুখ্যমন্ত্রী এখানকার কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করবেন বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, মিনি সচিবালয় উত্তরকন্যায় মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বুধবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও কালিম্পং জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। দু’টি বৈঠকেই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের উত্তরবঙ্গের ওএসডি সহ স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকদের হাজির থাকতে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকদের একাংশ বলেন, প্রতিবারই উত্তরবঙ্গ সফরে এসে প্রশাসনিক বৈঠকে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এবারের পরিস্থিতি কিছুটা অন্যরকম। তাই এবারের বৈঠকে কোভিড পরিস্থিতি গুরুত্ব পাবে বলেই আশা করছি। ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গে ৫৫টি সেফ হোম গড়া হয়েছে। তাতে বেড সংখ্যা ৩০০৯টি। কোভিড হাসপাতালের সংখ্যা ১৪টি। বেড সংখ্যা ১৬৭৪টি। এর বাইরে ভেন্টিলেটর ১৯৭টি, সিসিইউর সংখ্যা ১৬৮টি, ১১৫ জন ডাক্তার, ৫০ জন টেকনিশিয়ান এবং ৩৬৩ জন হাউস কিপিং রয়েছেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের উত্তরবঙ্গের ওএসডি ডাঃ সুশান্তকুমার রায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এখানে করোনা মোকাবিলার পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে আমন্ত্রণ পেয়েছি। বৈঠকে এখানকার করোনা মোকাবিলার পরিস্থিতি তুলে ধরব।
প্রসঙ্গত, একদা এখানে করোনা সংক্রমণের হার ছিল অস্বাভাবিক। এই রোগে সংশ্লিষ্ট পাঁচটি জেলায় শতাধিক লোকের মৃত্যু হয়েছে। যারমধ্যে দার্জিলিং জেলাতেই মৃতের সংখ্যা ১০০ জনেরও বেশি। আলিপুরদুয়ার জেলায় ৪৮ জন ও কোচবিহারে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে, ইদানীং এখানে দৈনিক সংক্রমণের তুলনায় সুস্থতার হার বেশি। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রের খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০৩ জন। সেই তুলনায় সংশ্লিষ্ট পাঁচ জেলায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪২১ জন। তবে, গত মার্চ মাস থেকে এখনও পর্যন্ত পাঁচ জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ৬০২ জন। ছ’মাসে এখানে সুস্থ হয়ে উঠেছেন প্রায় ২১ হাজার ৮৪৩ জন।
স্বাস্থ্যদপ্তর ও প্রশাসনের আধিকারিকরা বলেন, কোভিড মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের নির্দেশে লকডাউন করে কিছু সাফল্য মিলেছে। তাও বৈঠকে তুলে ধরা হবে। এর বাইরে এখানকার পর্যটন শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য, সড়কপথ প্রভৃতি বিষয়েও আলোচনা হতে পারে।