বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে করণদিঘি ব্লকের দোমোহনা এলাকার কয়েকটি গ্রাম ইতিমধ্যেই জলমগ্ন হয়েছে। ফলে ২৫০টি পরিবার জলবন্দি হয়ে পড়েছে। স্থানীয় সুধানী নদীর জল অনেকটাই বেড়ে যাওয়ায় নদী তীরবর্তী ঘরবাড়িগুলিতে ইতিমধ্যেই কোমর সমান জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। একাংশ বাসিন্দা বাড়িঘর ছেড়ে পাড়া-প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়াও দুর্গতদের জন্য পঞ্চায়েতের উদ্যোগে এলাকার কয়েকটি স্কুল খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে ত্রাণসামগ্রী এখনও না মেলায় দুর্গত বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। তাঁরা অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রশাসনিক কর্তারা এখনও এলাকায় আসেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য জয়ন্ত পাসওয়ান বলেন, আমরা দুর্গতদের পাশে রয়েছি। করোনা পরিস্থিতিতে এখন সবকিছুই প্রতিকূল অবস্থায় রয়েছে। সেকারণে কাজ করতে খুবই অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। স্থানীয় দোমোহনা অঞ্চলের পশ্চিম চইনাগারা, ধনিয়াপাড়া সহ বেশকিছু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে, ব্লকের নাগর নদীর জলস্তর বাড়তে থাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে নদী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। আলতাপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মতিগঞ্জ, বিলাসপুর, ইব্রাহিমপুর, বালিয়া সহ বেশকিছু এলাকা ইতিমধ্যে জলের তলায় চলে গিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তারা এলাকা পরিদর্শনে নেমেছেন। আলতাপুর -২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পবন সিংহ নদী সংলগ্ন গ্রামগুলিতে গিয়ে দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেন, লোকজন নিয়ে এলাকার মানুষকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।
এদিকে, ব্লকের দোমোহনা এলাকার সুধানী নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের দোমোহনা সেতু দিয়ে অত্যন্ত ধীরগতিতে বাস, লরি সহ অনান্য যানবাহন চলছে। অন্যদিকে, জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন নারায়ণপুর, চক দিলালপুর সহ বিভিন্ন গ্রাম স্থানীয় টাঙ্গন নদীর জলে প্লাবিত হয়ে পড়েছে। বিস্তীর্ণ কৃষি জমি ও এলাকার বহু বাড়িঘর জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। গ্রামে জল ঢুকে পড়ায় রীতিমতো আতঙ্কিত বোধ করছেন বাসিন্দারা। অন্যদিকে, জেলা সদর রায়গঞ্জ শহরের পুর এলাকার ২২ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের সংযোগস্থল দেবীনগরের কান্তনগর এলাকায় কুলিক নদীর বাঁধ টপকে জল ঢুকে যাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে এলাকার বেশকিছু ঘরবাড়ি। নদী তীরবর্তী এলাকায় ধস নেমে যাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বালির বস্তা ফেলে পুরসভার উদ্যোগে বাঁধ মেরামত করা হয়েছে। এদিকে কুলিক নদীর জল বেড়ে যাোয়ায় হেমতাবাদ ব্লকের চৈনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এদিন জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি গৌতম পাল জলবন্দিদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।
রায়গঞ্জ পুবসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার প্রসেনজিৎ সরকার বলেন, সেচদপ্তরের পক্ষ থেকে নয় মাস আগে এখানকার একমাত্র স্ল্যুইস গেট সংস্কারের কাজ শুরু হলেও এখনও তা শেষ হয়নি। এনিয়ে আমরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। বিষয়টি পুর চেয়ারম্যানকে বিস্তারিত জানিয়েছি।