বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
কোচবিহারের একটি পশুপ্রেমী সংগঠনের সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায় বলেন, বাণেশ্বরে প্রায়ই ষাঁড় জখম হচ্ছে। অনেকেই জমিতে তারের বেড়ায় ব্লেড লাগিয়ে দিচ্ছেন। তাতে ষাঁড় মারাত্মকভাবে জখম হচ্ছে। আমরা খবর পেলে সেখানে গিয়ে চিকিৎসা করছি। তবে এ বিষয়টি অবিলম্বে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। কোচবিহার জেলা পরিষদের সদস্য পরিমল বর্মন বলেন, বাণেশ্বর শিবমন্দিরকে কেন্দ্র করে এই এলাকায় ষাঁড় ছেড়ে দেওয়ার একটা রীতি বহুকাল থেকেই প্রচলিত রয়েছে। ফলে এলাকায় বহু ষাঁড় রয়েছে। এরা ফসলের খেতে ঢোকে। ফসল বাঁচাতে অনেকে ব্লেডযুক্ত তারের বেড়া দিচ্ছেন। অনেকে বেড়ার তারে বিদ্যুতের সংযোগও দিয়ে রাখেন। এরফলে ষাঁড়গুলি জখম হচ্ছে। অনেক সময়ে মারাও যাচ্ছে। আমরা জমিতে ওই ধরনের বেড়া দিতে নিষেধ করছি। এর পরিবর্তে নেট ব্যবহার করতে বলছি। আমাদের নজরে এমন ঘটনা এলে আমরাও জখম ষাঁড়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা করছি। আমরা এ নিয়ে প্রচার চালাচ্ছি।
বহু মানুষ বিভিন্ন কারণে মানত করে ষাঁড় ছাড়েন। বহুকাল থেকেই এই রীতি চলে আসছে। ফলে এখানকার বহু গ্রামেই বহু ষাঁড় ঘুরে বেড়ায়। এরা মাঝেমধ্যে ধান, পাট, শাকসব্জির জমিতে ঢুকে যায়। এরফলে কৃষিজ ফসলের ক্ষতি হয়। অনেকেই ষাঁড়ের মুখ থেকে ফসল বাঁচাতে জমির চারধারে কাঁটাতার, ব্লেডযুক্ত তার লাগিয়ে দিয়েছেন। জমিতে ফসল খেতে ঢোকার সময়ে এতে ষাঁড়গুলি জখম হচ্ছে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে ঘা হয়ে যাচ্ছে। এরফলে তারা প্রচণ্ড যন্ত্রণার শিকার হচ্ছে। অনেক সময়ে গরম জল, তেল প্রভৃতিও ষাঁড়েদের গায়ে ছুঁড়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। বাণেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে সিদ্ধেশ্বরী, হাতিডোবা, কালজানি, কুটিপাড়া, বিচামারি প্রভৃতি গ্রামে বহু ষাঁড় ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। বিভিন্ন বাজার, হাট, রাস্তার মোড়ে মোড়ে ষাঁড়গুলি থাকে। এই এলাকায় ষাঁড় ছাড়ার সঙ্গে পৌরাণিক কাহিনী, মিথ প্রভৃতি জড়িত হয়েছে বলেও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গিয়েছে। ওই এলাকা মূলত কৃষি প্রধান এলাকা। ধান, পাট, ভুট্টা, শাকসব্জি সহ নানান ফসল এখানকার মাঠে হয়। আর ষাঁড়গুলি খেতে ঢুকে ফসল খায় ও নষ্ট করে।