গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
এদিন বিকেলে শিলিগুড়ি শহরের পিডব্লুডি ইন্সপেকশন বাংলোয় বৈঠক করেন কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের নেতা-নেত্রীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য অশোক ভট্টাচার্য, সিপিএম নেতা দিলীপ সিং, শঙ্কর ঘোষ, আরএসপি নেতা রামভজন মাহাত উপস্থিত ছিলেন। কংগ্রেসের পক্ষে দলের প্রদেশ কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি শঙ্কর মালাকার, শিলিগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত, দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক জীবন মজুমদার ও এআইসিসি’র সদস্য উদয় দুবে উপস্থিত ছিলেন। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলা বৈঠকে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে উভয়পক্ষের সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা করা হয়।
বৈঠকের পর প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি তথা বিধায়ক শঙ্করবাবু বলেন, বর্তমানে এই শহরে আমাদের ভোট সাত শতাংশের আশপাশে। বামফ্রন্টেরও একই অবস্থা। তাই এই শহরে এককভাবে লড়াই করে কোনও পক্ষেরই সুবিধা হবে না। তাই এবার পুরভোটে সিপিএম সহ বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট করেই লড়াই করা হবে। এদিন জোটের ব্যাপারে কিছু আলোচনা করা হয়েছে। পুরসভার আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর সিট শেয়ারিং বা আসন রফা নিয়ে আলোচনা করা হবে। বৈঠকের পর বামফ্রন্ট নেতাদেরও একাংশ একই কথা বলেছেন। এনিয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, আসন সংরক্ষণের তালিকা প্রকাশের পরই এখানে জোট পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে বলে মনে হচ্ছে। তবে জোট নিয়ে উভয়পক্ষের নিচুতলার কর্মী-সমর্থকদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। ভোটে যার প্রভাবও পড়তে পারে বলে মনে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কাল শুক্রবার রাজ্যের অন্যান্য পুরসভার পাশাপাশি শিলিগুড়ি কর্পোরেশনের আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই তালিকা নিয়ে আপত্তি ও মতামত গ্রহণ করবে প্রশাসন। তারপর ওই আপত্তি ও মতামত নিয়ে শুনানি পর আসন সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। এরআগে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে নিয়ে প্রশাসন সর্বদলীয় বৈঠক করতে পারে। এই অবস্থায় এদিন বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস নেতাদের বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন উঠেছে।
বৈঠকের পর সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য অশোকবাবু সাংবাদিকদের কাছে বলেন, নির্বাচনী লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি শঙ্করবাবু বলেন, পুরসভার আসন সংরক্ষণের তালিকা হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী স্ট্যাটেজি ঠিক করা হবে। পুর আইন বা পদ্ধতি মেনে সংরক্ষণ করা না হলে প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হব। এনিয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, আসন সংরক্ষণে ত্রুটিকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ইস্যু করে তুলতে পারে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস জোট।
অন্যদিকে, শিলিগুড়ি শহরে যৌথ সমাবেশ করে জোটের বার্তা দিতে চায় কংগ্রেস ও সিপিএম। উভয় দল সূত্রের খবর, আগামী ২০ জানুয়ারি উভয় দলের নেতারা আবার বৈঠক করবেন। সেখানে আসন সংরক্ষণ, আসন রফা ও যৌথ সমাবেশ নিয়ে আলোচনা করা হবে। ১ ফেব্রুয়ারি শহরে তারা যৌথ সমাবেশ করবে। সেখানে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র উপস্থিত থাকবেন।