কর্মের প্রসার ও উন্নতি হবে। ব্যবসায়ীদের দিনটি অনুকূল। অর্থকড়ি প্রাপ্তি যোগ শুভ। অর্থ সঞ্চয় বাড়বে ... বিশদ
কাবুলের উত্তরে পুল-ই-কুমরি শহরে নির্যাতিতাদের একমাত্র আশ্রয়স্থলও এখন তালিবানের কব্জায়। পরিবার বা স্বামীর নির্যাতনের শিকার কিংবা কোনও বৃদ্ধকে বিয়ে করতে বাধ্য হওয়া প্রায় ২০ জন মহিলা ওই আবাসনে ছিলেন। নয়া সরকার ক্ষমতায় এসেই তাঁদের দু’টি বিকল্প দেয়— হয় সংশ্লিষ্ট পরিবারে ফিরে যেতে হবে, নয়তো তালিবানের সঙ্গে। বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছেন সালিমা নামে এক নির্যাতিতা। তাঁর দাবি, ওই আবাসনে থাকা অধিকাংশ মহিলাই পরিবারের কাছে ফিরে গিয়েছেন। ফের নির্যাতনের আশঙ্কা মাথায় নিয়েই। কিন্তু, সালিমা তালিবানের সঙ্গে যেতে সম্মত হন। সালিমা এবং রাজিয়া নামে আর এক মহিলার ঠিকানা এখন আফগানিস্তানের প্রধান জেল পুল-ই-চারখি। বিশাল স্টিলের গেট, মাথায় তারকাঁটা লাগানো ২০ ফুট উঁচু পাঁচিলের আড়ালে বর্তমানে বন্দি ছ’জন মহিলা। সম্প্রতি সংবাদসংস্থাকে সেখানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। জেলের ভিতরে অবশ্য মহিলারা সন্তানদের সঙ্গে খোলামেলাভাবেই মিশতে পারেন। যেমন ৫ বছরের মেয়ে মারিয়া এবং ৬ বছরের ছেলে মহম্মদের সঙ্গে কার্পেটে মোড়া একটি বিশাল ঘরে সময় কাটানোর সুযোগ পান সালিমা। প্রায় সারাদিন প্রার্থনা আর কোরান পাঠ করেই তাঁর দিন কাটে। কবে এই বন্দিদশা থেকে মুক্তি মিলবে, কেউ জানে না। মুজধা নামে এক মহিলাও রয়েছেন জেলে। প্রেমিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতায় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু, ছেলেটির পরিবার তাঁকে মেনে নেয়নি। তাই মুজধার ঠিকানা এই জেল। সালিমার মতো মুক্তির অপেক্ষায় দিন গুণছেন তিনিও।