কর্মরতদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। শরীর-স্বাস্থ্য ভালোই যাবে। পেশাগত পরিবর্তন ঘটতে পারে। শিল্পী কলাকুশলীদের ক্ষেত্রে শুভ। ... বিশদ
ব্যক্তিগত উপহার সামগ্রী ছাড়াও প্রাচীন পুঁথিপত্র ও গ্রন্থের আয়োজনও বিপুল। মুঘল আমলের অন্যতম দলিল হিসেবে বার বার উঠে আসে ‘পাদশাহনামা’-র কথা। সম্রাট শাহজাহানের শাসনকালের চিত্রিত ইতিহাস এই গ্রন্থ। শাহজাহান তাঁর শাসনকালের খতিয়ান লেখার দায়িত্ব দেন মহম্মদ আমিন কাজভিনিকে। মুঘল নবাবের প্রথম দশ বছরের রাজত্বের বিবরণ এতে ধরা আছে। প্রদর্শনীতে পাদশাহনামার একটি বিশেষ সংস্করণ সাজানো থাকছে। এটি লর্ড টেগেনমাউথ ১৭৯৮ সালে তৃতীয় জর্জকে উপহার দিয়েছিলেন।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলের নানান স্মরণিকাও গ্যালারিতে প্রদর্শিত হবে। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, দ্বিতীয় আকবর শাহ ও তাঁর সন্তানদের একটি অয়েল পেন্টিং। ১৮৩০ সালে এটি ব্রিটেনের রাজা চতুর্থ জর্জকে পাঠানো হয়। কর্নেল কলিন ম্যাকেঞ্জি ছিলেন ভারতের প্রথম সার্ভেয়ার জেনারেল। দক্ষিণ ভারতের হিন্দুমন্দির নিয়ে তাঁর বিশেষ ঝোঁক ছিল। স্থানীয় শিল্পীদের দিয়ে একাধিক মন্দিরের অজস্র স্থাপত্যচিত্র আঁকানোর ব্যবস্থা করেন ম্যাকেঞ্জি। স্কটিশ গ্যালারিতে শোভা পাবে সেই সমস্ত ছবি।
ভারতীয় শিল্প ও সংস্কৃতিকে বরাবর সম্মানের চোখে দেখতেন রানি ভিক্টোরিয়া। এখানকার ভাষা ও ছবির জগৎ তাঁকে মুগ্ধ করেছিল। ভারতের অনেক নবাবের সঙ্গে চিঠিপত্রে এই কথা ধরা রয়েছে। তাঁর ব্যক্তিগত সংগ্রহজুড়ে ছিল ভারতীয় চিত্রকলার সম্ভার। অন্যদিকে স্কটল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড ভ্রমণের সময় নিয়মিত ডায়েরি লিখতেন ভিক্টোরিয়া। যা হিন্দিতে অনুবাদ করেন বারাণসীর মহারাজ। প্রদর্শনীতে এমনই যাবতীয় নথি, ছবি, জার্নাল ও চিঠি থাকছে থাকছে বলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।