কর্মরতদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। শরীর-স্বাস্থ্য ভালোই যাবে। পেশাগত পরিবর্তন ঘটতে পারে। শিল্পী কলাকুশলীদের ক্ষেত্রে শুভ। ... বিশদ
শুক্রবার হু’র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সৌম্যা স্বামীনাথন বলেন, বেশ কয়েকটি দেশে সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ দেশেই মাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনা ভাইরাসের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। সামান্য কয়েকটি দেশেই সেই হার ২০ শতাংশয় পৌঁছেছে। কিন্তু এই সামান্য হারে অ্যান্টিবডি তৈরি হলে, তা দিয়ে গোষ্ঠী সংক্রমণ রোধ করা যাবে না। তা রুখতে গেলে কমপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি থাকতে হবে।
প্রতিষেধক ছাড়া শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরির বিষয়ে সৌম্যা বলেন, ‘বিশ্বের সব দেশেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এবং বহু মানুষের শরীরে এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও গড়ে উঠেছে। সাধারণত যে মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি রয়েছে, তিনি সংক্রমণ চেনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবেন। এদিকে সংক্রমণের হিসেবে আমেরিকা, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভারত প্রথম তিন স্থানে রয়েছে। এই তিন দেশের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকায় সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ফের সেদেশে স্কুল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে আমেরিকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ফের হাজার জনের বেশি সংক্রামিত হয়েছেন। সেদেশেও দ্বিতীয় দফায় স্কুল খুলতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করা উচিত বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মনে করছেন। আমেরিকার মতো পাকিস্তানেও গত ২৪ ঘণ্টায় হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন ৫৪ জন। ভয়াবহ এই পরিস্থিতিতে এতদিন ব্রিটেনে দোকান এবং সুপারমার্কেটে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক ছিল না। শুক্রবার থেকে মাস্ক বাধ্যাতামূলক করে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ মহলের অনেকেই মনে করছেন, বিশ্বের নানা দেশেই অতিদ্রুত সংক্রমণ ছড়ানোর পিছনে অনেকাংশেই দায়ী। বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা রুখতে হলে সচেতনতাও সবথেকে বেশি প্রয়োজন বলে চিকিৎসক মহল মনে করছেন।