গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
গত বছর ২২ ডিসেম্বর সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে জামা মসজিদে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিলেন চন্দ্রশেখর। তার ঠিক আগের দিন তাঁকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিস। কিন্তু থানায় যাওয়ার আগেই ভিড়ের সুযোগ নিয়ে পুলিসের হাত থেকে পালিয়ে যান তিনি। পরদিন জামা মসজিদে বিক্ষোভ থেকে ভীম আর্মি প্রধানকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। তাঁর বিরুদ্ধে হিংসায় মদত দেওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়। এদিন জামিনের শুনানির শুরুতেই উত্তরপ্রদেশে ভীম আর্মি প্রধানের বিরুদ্ধে হওয়া এফআইআরের বিষয়টি না জানার জন্য আদালতের তোপের মুখে পড়েন সরকারি আইনজীবী। তবে, তিনি চন্দ্রশেখরের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলি আদালতের সামনে তুলে ধরে হিংসায় মদত দেওয়ার অভিযোগ তোলেন।
সরকারি আইনজীবী যখন জামা মসজিদে ধর্নার পোস্টগুলি পড়ে শোনাচ্ছিলেন, তখন বিচারক কামিনী লউ প্রশ্ন করেন, ‘ধর্নায় বসার মধ্যে ভুল কী আছে? প্রতিবাদই বা ভুল কোথায়? এটা তো নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার। হিংসা কোথায়? পোস্টগুলিতে ভুল কী আছে? কে বলেছে প্রতিবাদ করা যাবে না? সংবিধান পড়ে দেখেছেন?’ চন্দ্রশেখরের করা কোনও পোস্টই অসাংবিধানিক নয় বলেও জানিয়ে দেন বিচারক। সরকারি আইনজীবীর যুক্তি ছিল, ১৪৪ ধারা জারি থাকা কোনও জায়গায় বিক্ষোভ দেখানোর জন্য আগাম অনুমতি প্রয়োজন। সেই যুক্তিও খারিজ করে দেন বিচারক। তিনি বলেন, ‘কীসের অনুমতি? সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভ রুখতে বারবার ১৪৪ ধারা জারি করা যায় না।’ সংসদের বাইরের প্রতিবাদের প্রসঙ্গ তুলে বিচারক আরও বলেন, ‘আমাকে দেখান, কোন আইনে ধর্মীয় স্থানের বাইরে কাউকে বিক্ষোভ দেখানো থেকে আটকানো যায়?’
সরকারি আইনজীবী অবশ্য জানান, আজাদের প্ররোচনামূলক বক্তব্যের ড্রোন ফুটেজ এবং অন্যান্য প্রমাণ রয়েছে। তবে তা পেশের জন্য সময় লাগবে। আগামীকাল মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। এদিকে, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের হয়েছে বলে দাবি করেছেন চন্দ্রশেখর।