গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
স্তন ক্যান্সার হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করতে সরকার স্বাস্থ্যকর্মী আশা, এএনএম, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের উদ্যোগ বাড়াচ্ছে। তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার করবে। সম্পূর্ণ বিনা পয়সায় স্ক্রিনিং তথা পরীক্ষার পাশাপাশি আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সরকার সাহায্য করছে। তাই স্তনে কোনওরকম সমস্যা বা অস্বাভাবিক বোধ করলেই বিষয়টি গোপন না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ারই দাওয়াই দিচ্ছে সরকার। আগেভাগে ধরা পড়লে স্তন ক্যান্সার সম্পূর্ণ সারানো যায় এবং সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপনও করা যায় বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
সরকারের পক্ষে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব প্রীতি সুদান বলেন, স্তন ক্যান্সারের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। তবে সরকারও ফ্রি পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে। ইতিমধ্যেই গোটা দেশে ৯২ লক্ষ মহিলার পরীক্ষা হয়েছে। যার মধ্যে ২২ হাজার মহিলার স্তন ক্যান্সার ধরা পড়েছে। কেন্দ্রীয় সচিবের সুরেই ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) ডিজি অধ্যাপক বলরাম ভার্গব জানান, সাধারণত মহিলাদের ৪০ বছরের পর থেকে ঝুঁকি বেশি থাকে। তবে আগেভাগেই পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কারণ, গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ৩০ থেকে ৫০ বছরের মহিলাদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়ছে।
কী কী কারণে স্তন ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা? সরকার এবং গবেষকরা বলছেন, বেশি বয়সে বাচ্চা হলে আবার বাচ্চাকে বুকের দুধ না খাওয়ালেও স্তন ক্যান্সারের সম্ভাবনা বেশি থাকে। এছাড়া দূষণ, প্লাস্টিকের পাত্রে খাবার গরম করে খেলেও স্তন ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়ে। অত্যধিক রাত জেগে কাজ করলেও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে।
স্তনে আচমকা কোনওরকম পিণ্ড তৈরি হয়েছে কি না, সেদিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। যদিও স্তনে কোনও পিণ্ড মানেই তা ক্যান্সারের কারণ, তা নয়। স্তনে টিস্যুর পরিমাণ ঘন হলে বা বয়স ক্রমশ বাড়লে স্তন ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়তে পারে। এছাড়া যেসব মহিলার অল্প বয়সে ঋতুচক্র শুরু হয় ও বেশি বয়সে মেনোপজ হয়, তাদেরও ঝুঁকি বেশি থাকে বলেই গবেষণায় উঠে এসেছে। তাই উল্লেখিত বিষয়গুলিতে সতর্ক হয়ে মহিলাদের সচেতন হওয়ার ওপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্র।
মহিলাদের সচেতন করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে। নয়ডায় বিশেষ প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। প্রতিদিন ১০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজে যুক্ত রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের ব্রেস্ট অ্যান্ড এন্ডোক্রিন সার্জেন ধৃতিমান মৈত্র, এইমসের ডা. অনুরাগ শ্রীবাস্তব ও ডা. অনিতা ধরের মতো চিকিৎসক।