অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
সন্দীপ স্বর্ণকার, নয়াদিল্লি, ৩ ডিসেম্বর: হাওলার মাধ্যমে কংগ্রেসের কাছে ১৭০ কোটি টাকা এসেছে উল্লেখ করে সোনিয়া গান্ধীর দলকে নোটিস পাঠিয়েছে আয়কর দপ্তর। আর এই নোটিস পেয়ে কংগ্রেস চাপে রয়েছে। কেবল নোটিসই নয়। শমনের পরেও আয়কর দপ্তরে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে কংগ্রেসের কেউ পৌঁছয়নি বলেও অভিযোগ। তবে এ নিয়ে দল মুখে কুলুপ এঁটেছে।
সম্প্রতি এআইসিসি’র কর্মীর বাড়িতে আয়কর দপ্তরের হানা, ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা দাবি করে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু হাওলার মাধ্যমে টাকা পাওয়া প্রসঙ্গে কেউ কোনও কথা বলছেন না। দলের কোষাধ্যক্ষ আহমেদ প্যাটেল বা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোনও টুঁ শব্দ করা হচ্ছে না। কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীর কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি জানি না। অসমের এমপি গৌরব গগৈও বলেছেন, আমার জানা নেই। অধীরবাবু বলেছেন, হাওলার মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে কি না, বা আয়কর দপ্তর কী করছে জানি না। নির্বাচনী বন্ডে যে ধোঁয়াশাযুক্ত উৎস থেকে বিজেপি কোটি কোটি টাকা পেয়েছে, তা নিয়ে তদন্তকারী সংস্থা চুপ কেন?
হায়দরাবাদের একটি কোম্পানি থেকে কংগ্রেস হাওলার মাধ্যমে ১৭০ কোটি টাকা পেয়েছে বলে খবর। ওই কোম্পানির আয়কর সংক্রান্ত তদন্ত করতে গিয়েই কংগ্রেসের কাছে যাওয়া ওই ১৭০ কোটির হদিশ মিলেছে বলেই আয়কর দপ্তরের দাবি। তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি হাওলা চক্রের হদিশ তদন্তকারী সংস্থা পেয়েছে। কেবল কংগ্রেসই নয়, অন্ধ্রপ্রদেশের আরও একটি রাজনৈতিক দলও এ ব্যাপারে তদন্তকারী সংস্থার নজরে রয়েছে।
কর ফাঁকি ধরতে কেবল হায়দরাবাদই নয়, দিল্লি, মুম্বই, গোয়া, পুনে, আগ্রার মতো ৪২টি জায়গায় সম্প্রতি তল্লাশি চালায় আয়কর দপ্তর। সেখানেই কর্পোরেট সংস্থার সঙ্গে হাওলা ডিলার এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের যোগ মিলেছে বলেই আয়কর দপ্তরের বক্তব্য। সরকারি প্রকল্পের কাজে সরকারের থেকে টাকা নিয়ে তা অন্য খাতে লেনদেন হয়েছে বলেও অভিযোগ। তাই বিষয়টি নিয়ে তদন্তে কিং পিনকে যেমন তদন্তকারী অফিসাররা পাকড়াও করতে চাইছেন, একইসঙ্গে যাদের মধ্যে লেনদেনের তথ্য হাতে এসেছে, তাদের নোটিস পাঠানো হয়েছে। জানতে চাওয়া হয়েছে, এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য কী। কিন্তু এদিন এ ব্যাপারে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কেউ কোনও রা কাটেনি। আর তাতেই সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়েছে। তবে কি সত্যিই এ ধরনের লেনদেন হয়েছে? উঠছে প্রশ্ন।