অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম গুলশন (৪৫)। পেশায় ব্যবসায়ী ওই ব্যক্তি পরিবার নিয়ে কিছুদিন আগেই আবাসনে ওঠেন। সস্ত্রীক আত্মহত্যা করার আগে দুই সন্তানকে গলার নলি কেটে খুন করেন তিনি। তারপর ন’তলা থেকে ঝাঁপ দেন। কিন্তু দ্বিতীয় মহিলার আত্মহত্যা নিয়ে ধন্দে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, ব্যবসায় মন্দা চলছিল গুলশনের। প্রচুর ধার-দেনাতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। ফলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। শেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। প্রথমে দুই সন্তানকে খুন করে স্ত্রীকে নিয়ে আবাসন থেকে ঝাঁপ দেন। গুলশনের ফ্ল্যাট থেকে তাঁর দুই সন্তানের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিস। গাজিয়াবাদ পুলিসের শীর্ষ আধিকারিক সুধীর কুমার জানিয়েছেন, ফ্ল্যাটের ঘর থেকে ব্যবসায়ীর দুই সন্তানের দেহ উদ্ধার হয়েছে। গুলশনের ছেলের বয়স ১৩ এবং মেয়ের বয়স ১১। একটি সুইসাইড নোটও মিলেছে। পাশে কিছু টাকা পাওয়া গিয়েছে। ওই টাকাগুলি যেন তাঁদের সৎকারে ব্যবহার করা হয়, সুইসাইড নোটে এমনটাই লিখে গিয়েছেন গুলশন।
শুধু ব্যবসায়িক মন্দা, নাকি আত্মহত্যার পিছনে অন্য কারণ আছে তা তদন্ত করে দেখছে পুলিস। প্রশ্ন উঠছে, দ্বিতীয় মহিলা কেন আত্মহত্যা করতে গেলেন? রহস্য এখানেই। কে ওই মহিলা? ইন্দিরাপুরমের ওই এলাকায় গুঞ্জন, ওই মহিলা সম্ভবত গুলশনের দ্বিতীয়পক্ষের স্ত্রী। কেউ আবার বলছেন, ওই মহিলা গুলশনের বিজনেস পার্টনার। কেন সপরিবারে আত্মহত্যা করলেন ওই ব্যবসায়ী? সেই উত্তর জানার চেষ্টা করছে গাজিয়াবাদ পুলিস।