কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
যদিও তথ্য সম্প্রচার সূত্রের খবর নমো টিভি কোনও নিউজ চ্যানেল কিংবা স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল নয়। এটি কনটেন্ট টিভি। অর্থাৎ বিভিন্ন সার্ভিস প্রোভাইডার থেকে কেবল স্লট ভাড়া করে যারা বিজ্ঞাপনী প্রতিপাদ্য সম্প্রচার করে তাদের সেই প্ল্যাটফর্ম চ্যানেলগুলির জন্য কোনও লাইসেন্সের দরকার হয় না। সরাসরি ডিটিএইচ কিংবা কেবল পরিষেবা থেকেই তারা এই স্লট ভাড়া করে। এদিকে সরকারিভাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক নির্বাচন কমিশনকে কী জবাব দিয়েছে, সেটা নিয়ে জল্পনা চললেও আজ টাটা স্কাইয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতি নিয়ে রহস্য আরও ঘোরালো হয়েছে। আজ এই বিতর্ক নিয়ে টাটা স্কাই প্রথমে ট্যুইট করে জানিয়ে দেয় ‘নমো টিভি’ একটি হিন্দি নিউজ চ্যানেল। এটি জাতীয় রাজনীতির বিভিন্ন ব্রেকিং নিউজ প্রচার করে থাকে। সেটি কোনওভাবেই বন্ধ করে দেওয়ার উপায় নেই। এটি গ্রাহকদের লঞ্চ অফার হিসাবেই দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ নিউজ চ্যানেলের মতোই। কিন্তু এর কয়েকঘন্টা পরই সেই টাটা স্কাই নিজেদের অবস্থান বদলে ফেলে। তারা আবার নতুন করে নিজেদের বিবৃতি বদলে দিয়ে জানায়, নমো টিভি কোনও নিউজ সার্ভিস নয়। এটি আসলে একটি স্পেশাল সার্ভিস। এটি বিজেপি থেকে সম্প্রচার করা হয় ইন্টারনেট মারফৎ। এজন্য কোনও লাইসেন্সের দরকার হয় না। আমাদের আগের বিবৃতিতে ভুল করে জানানো হয়েছে যে এটি নিউজ চ্যানেল। এভাবে টাটা স্কাইয়ের মতো একটি সংস্থাকে কেন বিবৃতি বদলে দিতে হয়েছে তা নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, নমো টিভি গত ৩১ মার্চ চালু হয়। তবে কোনও ধুমধাম করে চালু হয়নি। প্রায় নীরবেই শুরু হয় এবং প্রায় সমস্ত সার্ভিস প্রোভাইডারের পরিষেবাতেই এই চ্যানেল দেখতে পাওয়া যায়। এটি প্রধানত নরেন্দ্র মোদির প্রচার, সমাবেশ এবং বক্তব্যকে প্রদর্শন করছে। নমো টিভি অবশ্য নতুন কোনও প্রবণতা নয়। ২০১২ সালে গুজরাতের বিধানসভা ভোটের আগেও নমো টিভি চালু হয়েছিল। ভোটের পর আবার বন্ধও হয়ে যায়। বিরোধী দলগুলির পক্ষ থেকে কমিশনে চিঠি দিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে নমো টিভির মালিকানা কার সেটা সরকারি জানানো হোক দেশবাসীকে।