পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ
এদিকে বকখালির অধিকাংশ হোটেলেই কোনও সি ফেসিং ঘর নেই। তা জানতে পেরে হতাশ হচ্ছেন পর্যটকরা। তবে তাঁরা ভাড়া নেওয়া ঘর বাতিল করছেন না। জানা গিয়েছে, শনি এবং রবি বকখালির হোটেলগুলিতে ৫০ শতাংশেরও বেশি রুম বুক হয়ে গিয়েছে। ঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে বলে পর্যটকরা ছুটি বাতিল করছেন না। এরকম কোনও ইচ্ছে বা আগ্রহ তাঁদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে না। বকখালি-ফ্রেজারগঞ্জ হোটেলিয়ার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সহ সম্পাদক দেবরাজ জানা বলেন, ‘দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার খবর ইতিমধ্যেই জানা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আমাদের এখানে হোটেল বুকিংয়ে তার কোনও প্রভাব পড়েনি। উল্টে এই দু’দিন ভালো সংখ্যক পর্যটক আসার কথা। তাঁদের অনেকেই সি ফেসিং রুম আছে কিনা খোঁজ করছেন।’
জানা গিয়েছে, প্রশাসন হোটেল বুকিং বাতিল করা নিয়ে কোনও নির্দেশিকা দেয়নি। তাই আপাতত কোনওররকম অতিরিক্ত পদক্ষেপ হোটেল ব্যবসায়ীরা নিজে থেকে নিচ্ছেন না। শনি ও রবিবার যেহেতু দুর্যোগের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর, সেক্ষেত্রে সমুদ্রে নামতে পারবেন না কেউই। তখন হোটেলের ঘরেই থাকতে হবে পর্যটকদের। আগামী দু’দিন সমুদ্রে যাতে কেউ না নামেন তা নিয়ে এদিন সকাল থেকে মাইকিং করা শুরু করেছে ব্লক প্রশাসন।
জানা গিয়েছে, বিভিন্ন উপকূলবর্তী এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছেন ব্লকের আধিকারিকরা। পর্যাপ্ত শুকনো খাবার থেকে শুরু করে ত্রিপল ও অন্যান্য সামগ্রী মজুত করা শুরু হয়ে গিয়েছে। ফ্লাড শেল্টার ছাড়াও যে সমস্ত স্কুলে গ্রামবাসীদের রাখা হতে পারে সেগুলি চিহ্নিত করা হচ্ছে। তবে প্রশাসনের সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ হল, এই এলাকার দুর্বল বাঁধগুলি। সাগর, নামখানা, ডায়মন্ড হারবারের একাংশ, কাকদ্বীপ প্রভৃতি জায়গায় এই ধরনের বহু নদী বাঁধ রয়েছে। সেচদপ্তরকে সেগুলির উপর বাড়তি নজর দিতে বলেছে জেলা প্রশাসন। ডায়মন্ড হারবার মহকুমায় শুক্রবার থেকে একটি কন্ট্রোল রুম চালু হয়েছে। সিভিল ডিফেন্সের স্পেশাল দল বিপর্যয়ের মহড়া করে এদিন। কাকদ্বীপ মহকুমায় ইতিমধ্যেই পৌঁছেছে এনডিআরএফের দল।