নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: হাওড়ার জেলিয়াপাড়ায় খুনই হয়েছেন জিনজিরা বাজারের বাসিন্দা আশিসকুমার সিং। কিন্তু খুনের উদ্দেশ্য কী, ঠিক কী কারণে এবং কোন সম্পর্কের জেরে আশিসবাবু শুক্রবার কবিতা দুবের বাড়িতে এসেছিলেন, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় তদন্তকারীরা। জখম কবিতাদেবী বর্তমানে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি। তাঁকে এবং তাঁর ছেলে বিশাল দুবেকে জেরা করে নানা সূত্র পেয়েছে পুলিস। কবিতাদেবীর সঙ্গে আশিস সিংয়ের সম্পর্কও যে অনেকদিনের, সে বিষয়ে নিশ্চিত পুলিস। দু’জনের মধ্যে আর্থিক কোনও লেনদেন ছিল কি না, থাকলে টাকাপয়সা সংক্রান্ত কোনও ঝামেলা হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হাওড়া থানার এক পুলিসকর্তা জানান, মৃত ব্যক্তি এবং কবিতাদেবী—দু’জনেরই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। আশিস সিং-এর পরিবহণের ব্যবসা ছিল। ফলে তাঁর যথেষ্ট টাকাপয়সা ছিল। এই খুনের পিছনে সেই লোভ কাজ করেছে কি না, তা নিয়েও খোঁজখবর করছেন তদন্তকারীরা। এদিন হাওড়া আদালত কবিতাদেবী ও তাঁর ছেলে বিশাল দুবেকে তিনদিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
এদিকে, শুক্রবার কবিতাদেবীর প্রতিবেশীরা বলেছিলেন, আশিসবাবুর ছেলেরা একটি চিঠি দেখিয়েছেন। বলেছেন, এতে বাবা কবিতাদেবীর থেকে বারে বারে যে পাওনা টাকা চেয়েছেন, সে কথা লিখে গিয়েছেন। তদন্তে নেমে শনিবার পর্যন্ত এরকম কোনও চিঠির অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি পুলিস। ফলে এরকম কথা কী উদ্দেশ্যে রটিয়ে দেওয়া হল বা তদন্তকে ভুল পথে চালিত করার পরিকল্পনা কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে এক পুলিসকর্তা জানিয়েছেন। আশিসবাবুর পরিবারের সদস্যদের জেরা করে পুলিস জানতে পেরেছে, কবিতাদেবী বারবার আশিসবাবুকে ফোন করতেন। এনিয়ে বেশ অশান্তির মধ্যেই ছিলেন তাঁরা এবং পরিবারে নানা সমস্যাও তৈরি হয়েছিল। তাই খুনের প্রকৃত উদ্দেশ্য কী, তা খুঁজে পেলেই রহস্যের উন্মোচন হবে বলে মনে করা হচ্ছে।