অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
বীরবাহাদুর গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর পুরোদমে আসরে নেমে পড়েছে বিজেপি। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সরব হয়েছে লোকসভায়। মঙ্গলবার বাঁকুড়ার এমপি সুভাষ সরকার, বারাকপুরের সংসদ অর্জুন সিং ও দার্জিলিংয়ের এমপি রাজু বিস্ত এই প্রসঙ্গ তোলেন। তাঁরা দাবি করেন, বাংলায় পুলিসরাজ চলছে। তাঁদের কর্মীদের কোনও নিরাপত্তা নেই। আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। এই নিয়ে লোকসভায় হইচইও শুরু করে দেন তাঁরা। যদিও তৃণমূলের বক্তব্য, এই ঘটনায় পরিকল্পিতভাবে রাজনীতি টেনে এনেছে বিজেপি। সাধারণ একটি ঘটনাকে বড় আকার দিতে চাইছে। বাংলায় আইনশৃঙ্খলার অবস্থা অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অনেক ভালো। শাসকদলের পাল্টা অভিযোগ, রাজ্যে তাদের কর্মীরাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। অধিকাংশ জায়গাতেই বিজেপির নেতৃত্বে হামলা চলছে বলে অভিযোগ আনে তারা। তবে বীরবাহাদুরের ঘটনায় দোষীদের ধরার চেষ্টা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আইন মোতাবেক সমস্ত ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
এদিকে বীরবাহাদুরের পরিবার পুলিসের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছে। তাঁদের বক্তব্য, তাঁর উপর এর আগেও হামলা হয়েছে। কিন্তু পুলিস বিষয়টি অত্যন্ত হাল্কাভাবে দেখেছে। এক্ষেত্রে মেটিয়াবুরুজ থানার প্রাক্তন এক ওসির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছেন তাঁরা। বীরবাহাদুরের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ছয় মাস আগেও মুন্নার বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছিল থানায়। কিন্তু বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে পুলিসের দাবি, অভিযোগের ভিত্তিতে সমস্ত কেসই করা হয়। তবে এফআইআরে কারও নাম না রেখে কেন ‘আদার্স’ হেড রাখা হল, তার ব্যাখ্যা মেলেনি।
তদন্তে পুলিস জানতে পারছে, বীরবাহাদুরের সঙ্গে ওই এলাকার লোকজনের অনেক দিন ধরেই গোলমাল চলছিল। শুধু তাই নয়, জোর করে তিনি অনেককে আরএসএসের সদস্য করার চেষ্টা করছিলেন বলেও অভিযোগ এসেছে পুলিসের কাছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভির ফুটেজ নেওয়া হয়েছে। তার ভিত্তিতে চিহ্নিত করার চেষ্টা হচ্ছে অভিযুক্তদের। পাশাপাশি কারা বীরবাহাদুরকে শাসাচ্ছিল, তা নিয়েও খোঁজখবর চলছে বলে জানা গিয়েছে।