কর্মপ্রার্থীদের কোনও চুক্তিবদ্ধ কাজে যুক্ত হবার যোগ আছে। ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। বিবাহের যোগাযোগ ... বিশদ
এদিন রাতে বাচ্চাটির জেঠু অনির্বাণ চক্রবর্তী বলেন, সরকার এত নতুন নতুন ব্লাড ব্যাঙ্ক তৈরি করছে। কিন্তু, মানুষের প্রয়োজনে সেখানে রক্ত না থাকলে, আমরা কোথায় যাব? টাকাপয়সা জোগাড় করে প্রাইভেট ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে রক্ত কিনতেও আমরা তৈরি ছিলাম। কিন্তু, সেখানেও হোল ব্লাড অমিল।
এদিন রাতে বিষয়টি জেনে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী হস্তক্ষেপ করেন। বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে এন আর এস-এই যাতে রক্ত পাওয়া যায়, তার উদ্যোগ নেন। বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। আসলে এখন রক্তের পৃথকীকরণে জোর দেওয়া হয় বলে, হোল ব্লাড পেতে সমস্যা হয়। বিষয়টি দেখা হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে বলব সরকারি হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের অবস্থা বিভিন্ন সময়ে কত, জানার জন্য জীবনশক্তি অ্যাপ-এর দিকে চোখ রাখুন।
সূত্রের খবর, বাগুইহাটির বাসিন্দা রিঙ্কি এবং পিয়াল চক্রবর্তীর চারদিনের সন্তান জন্ডিসে আক্রান্ত হয়। শনিবার রাত ১০টা নাগাদ চিকিৎসকরা দুই ইউনিট বি পজিটিভ ব্লাড আনতে বলেন বাড়ির লোকজনকে। তারপর থেকে শুরু হয় ভোগান্তি। লাট্টুর মতো এক ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে অন্যত্র চরকিপাক এবং শুধু ‘নেই’ শুনে যাওয়া। রাজ্য রক্ত সঞ্চালন পর্ষদের সদস্য অচিন্ত্য লাহা বলেন, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। এক শিশুর প্রাণ বাঁচাতে যদি এতগুলি ব্লাড ব্যাঙ্ক রক্ত দিতে না পারে, সত্যিই কিছু বলার নেই।