সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: রাজ্য সরকারের বাংলা ভাষায় জয়েন্ট পরীক্ষার দাবি অনর্থক। কেন্দ্র অনেক আগেই সব রাজ্যকে জানিয়েছিল। বাংলার সরকার সেই সময় হ্যাঁ বা না কিছুই বলেনি। এখন নাটকবাজি শুরু করেছে। বাংলার মানুষকে বোঝাচ্ছে আমরা কত বাংলা দরদি। সোমবার রাতে নবদ্বীপের দু’টি রাস বারোয়ারির পুজো উদ্বোধন করতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন, রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা সংসদ সদস্য দিলীপ ঘোষ। ওইদিন নবদ্বীপে কয়েকটি পুজোর উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য। সেখানে দলীয় নেতা কর্মীরা ভিড় জমিয়েছিলেন। তারপর তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
জয়েন্ট নিয়ে দিলীপবাবু বলেন, গুজরাতের সঙ্গে বাংলার কোনও তুলনাই হয় না। বাংলার থেকে গুজরাতে অনেক বেশি ছাত্র-ছাত্রী জয়েন্টে চান্স পায়। সেখানে বাংলায় ক’জন ছাত্র-ছাত্রী চান্স পায়। গুজরাতে অনেক বেশি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল আছে। তাই সেখানে পরীক্ষার্থীদের সংখ্যাও অনেক বেশি। সে কথা মাথায় রেখেই সেখানে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা গুজরাতি ভাষায় করা হয়েছে। এছাড়াও তিনি বলেন, বাংলায় ইংলিশ মিডিয়াম আছে। এখন থেকে অনেক কম ছাত্র জয়েন্টে চান্স পায়। রাজ্য আগে গুজরাতের মতো স্কুল তৈরি করুক। তারপরই তিনি বলেন, বাংলা ভাষায় জয়েন্ট পরীক্ষার রাজ্য সরকারের দাবি অনর্থক।
করিমপুরের উপ-নির্বাচনকে সামনে রেখে সোমবার বিকেলে বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে রোড শো শেষ করে রাত ৯টা নাগাদ নবদ্বীপে এসে পৌঁছন দিলীপবাবু। এরপর প্রথমে নবদ্বীপ স্টেশন রোডের কাছে বিশ্বাসপাড়া বিবেকানন্দ কলোনির মহিলাবৃন্দের পরিচালনায় নটরাজ পুজোর উদ্বোধন করেন। ফিতে কেটে প্রতিমার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন দিলীপ ঘোষ। পরে ফাঁসিতলার অন্নপূর্ণা মাতার পুজোর উদ্বোধন করেন তিনি। এদিন তাঁর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় বাসিন্দারা শামিল হন। ওইরাতে নবদ্বীপেই থাকেন তিনি। পরে মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ নবদ্বীপ ব্লকের মুকুন্দপুরে সারা ভারত শিল্পী সংসদের তরফে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। দিলীপবাবুর অনুষ্ঠানে দলীয় নেতা কর্মীরা ভিড় জমান। শিল্পীরা নিজেদের কথা তাঁকে জানান। সংবর্ধনা শেষে দিলীপবাবু বলেন, রাসের মতো এমন একটি উৎসবে আসা চরম সৌভাগ্যের ব্যাপার। সারা ভারত শিল্পী সংসদের সভাপতি সিদ্ধার্থ দাস বলেন, দিলীপবাবু আমাদের শিল্পীদের জন্য সব সময় ভাবেন। তাই আমাদের শিল্পী সংসদের পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত খুশি।