কর্মপ্রার্থীদের কোনও চুক্তিবদ্ধ কাজে যুক্ত হবার যোগ আছে। ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। বিবাহের যোগাযোগ ... বিশদ
অতিরিক্ত পুলিস সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেন, বিডিও অফিসে ডাকাতির ঘটনায় মোট চার দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত অন্যান্য দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে চুরি যাওয়া সামগ্রী উদ্ধার করা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে হাবড়া ১ ব্লকের বিডিও শুভ্র নন্দীর আবাসনে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। শুভ্রবাবু ও তাঁর স্ত্রীকে বেঁধে দুষ্কৃতীরা নগদ টাকা, সোনা ও হীরের গয়না ও অন্যান্য সামগ্রী ডাকাতি করে করে চম্পট দেয়। এই ঘটনায় প্রশাসনিক মহলের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। এই ঘটনার তদন্তে নেমে শনিবার রাতে চার জনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃত মইদুলের বাড়ি অশোকনগরের বীরা মল্লিকপাড়া, শঙ্করের বাড়ি অশোকনগরের ৫নম্বর সুভাষ পল্লি, সুদীপের বাড়ি অশোকনগরের ৫নম্বর তরুণ পল্লি ও ফারুকের বাড়ি হাবড়ার ছোট বামনিয়া এলাকায়। ধৃতদের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে। প্রাথমিক জেরায় পুলিস জেনেছে, দুর্গাপুজোর সময় বিডিও আবাসনে নারকেল ছাড়ানোর কাজে এসেছিল ফারুক। মাত্র এক থেকে দুই দিনের কাজকে সে ইচ্ছাকৃতভাবে সাত থেকে আট দিন ধরে করেছিল। ওই সময় সে নারকেল গাছ ছাড়ানোর নাম করে বিডিও আবাসনে কারা কারা থাকেন, আবাসনে ঢোকা ও বের হওয়ার রাস্তা দেখেছিল। এরপর কাজ থেকে ফিরে গিয়ে বাকিদের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা করে। এরপর পরিকল্পনা মাফিক ১৪ জনের দুষ্কৃতী দল বৃহস্পতিবার রাতে বিডিও আবাসনে ডাকাতির জন্য এসেছিল। বিডিওর আবাসনের মধ্যে ঢুকেছিল পাঁচ জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী। বাইরে ছিল আরও আরও ৯জন দুষ্কৃতী। ভিতরে ঢোকা দুষ্কৃতীরা অবাঙালি ছিল। ঘণ্টা খানেক ধরে তাণ্ডব চালিয়ে তারা চম্পট দেয়। তবে পুলিসের ধারণা, ধৃতরা অশোকনগর ও হাবড়া থানা এলাকায় একাধিক ডাকাতির ঘটনায় জড়িত।