কর্মপ্রার্থীদের কোনও চুক্তিবদ্ধ কাজে যুক্ত হবার যোগ আছে। ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। বিবাহের যোগাযোগ ... বিশদ
গত ২৮ অক্টোবর প্রবল জলের তোড়ে ভেঙে পড়ে খড়দহের শ্যামসুন্দর ঘাটের জেটি। সেই দিন থেকেই বন্ধ হয়ে যায় খড়দহ-রিষড়া ফেরি পরিষেবা। এই ঘাট দিয়ে খড়দহ পুরসভার ২২টি, টিটাগড়ের ৭টি ও পানিহাটির ৭টি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা যাতায়াত করেন। এছাড়া পণ্ডিতপুর ও পাতুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারাও এই ফেরি পরিষেবার উপর নির্ভরশীল। ওপারের রিষড়া পুরসভার বাসিন্দারা এই ঘাট দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করেন। এই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন পাঁচ হাজার যাত্রী পারাপার করেন। চাকুরীজীবী থেকে ব্যবসায়ী, নিত্য যাত্রীরা এই ফেরিঘাট ব্যবহার করেন। গত দুই সপ্তাহ ধরে ঘাট বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন তাঁরা। ঘুরপথে যাতায়াত করছেন। শ্যামসুন্দর ঘাট থেকে তিন কিমি দূরে পানিহাটি ঘাট ও দু’কিমি দূরে টিটাগড় ঘাট। ওই দুই ঘাট দিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন নিত্যযাত্রীরা। জগদ্ধাত্রী পুজোর সময়েও এই ঘাট বন্ধ ছিল। ফলে খড়দহ এলাকার বাসিন্দারা এই ঘাট দিয়ে যাতায়াত করে রিষড়া বা চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে যেতে পারেননি।
ফেরি পরিষেবা বন্ধ থাকায় খড়দহ স্টেশন থেকে শ্যামসুন্দর ঘাট পর্যন্ত অটো চলাচল বন্ধ রয়েছে। এই রুটে ২০টি অটো চলাচল করত। অটো চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চালকরা বেকার হয়ে পড়েছেন। শ্যামসুন্দর ঘাটে কয়েকটি দোকান রয়েছে। যাত্রী পারাপার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দোকান মালিকদের ব্যবসা লাটে উঠেছে।
খড়দহ-রিষড়া ফেরি পরিষেবা দেখভাল করে রিষড়া পুরসভা। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, খড়দহের দিকে নদীতে চরা পড়ে গিয়েছে। এর ফলে জোয়ারের সময় নদীর প্রবল স্রোতে জেটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর আগেও শ্যামসুন্দর ঘাটে জেটি বেশ কয়েকবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেটি মেরামতির কাজ চালাচ্ছে ভূতল পরিবহন দপ্তর। ওই দপ্তরের টেকনিশিয়ানরা জেটির স্থায়ী মেরামতি করতে চাইছেন। অস্থায়ীভাবে নয়। অস্থায়ীভাবে হলে আবার পরিষেবা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
শ্যামসুন্দর ঘাট সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা বলেন, জেটির দেখভাল ঠিকমতো হয় না। ঘাটে থাকা কর্মীদেরও কর্তব্যে গাফিলাতি রয়েছে। এখানকার কয়েকজন কর্মীকে অন্যত্র বদলি করার প্রয়োজন রয়েছে। নইলে ফেরি পরিষেবা আবারও বন্ধ হবে। রিষড়া পুরসভার চেয়ারম্যান বিজয়সাগর মিশ্র বলেন, ভূতল পরিবহন দপ্তরের কর্মীরা জেটি মেরামতির কাজ চালাচ্ছেন। আমরা বারবার চিঠি দিয়েছি। ঘাট বন্ধ থাকায় অনেক যাত্রী দুর্ভোগে পড়েছেন, এটা আমরা জানি।