সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
মূল অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল বিকেল চারটের সময়। কিন্তু আধঘণ্টা সময় পেরিয়ে যখন বিদেশি অতিথিদের পাশাপাশি রাখী গুলজার, শাহরুখ ও সৌরভকে সঙ্গে করে স্টেডিয়ামের ফ্লোরে নামলেন মমতা, স্পট লাইটের সব দ্যুতি কেড়ে নিল তাঁদের উপস্থিতি। বাংলার মাটি যে চলচ্চিত্র শিল্পের জন্যও উর্বর, তা বোঝাতে দেখানো হল একটি ছোট্ট সিনেমা, তনুশ্রীশঙ্করের ট্রুপ যখন মঞ্চে নৃত্য পরিবেশন করতে নামল, তখন সাউন্ড সিস্টেমে বাজছে ‘বহে নিরন্তর অনন্ত আনন্দধারা’। রবীন্দ্রসঙ্গীতের সেই আনন্দের রেশ জিইয়ে রইল স্টেডিয়াম জুড়ে, যখন একে একে মঞ্চে এলেন তারকারা। মহা তারকাদের পাশাপাশি মহেশ ভাট, মাধবী মুখোপাধ্যায়, সন্দীপ রায়, রঞ্জিত মল্লিক, দেব, গৌতম ঘোষ, নুসরত, মিমি, শুভশ্রী, ইন্দ্রানী হালদার, শতাব্দী রায়, অরিন্দম শীল, পাওলি দাম, প্রিয়াঙ্কা, কোয়েল মল্লিক, থালি গার্ল শ্রাবস্তী, অঙ্কুশ, সোহমদেরও একইসঙ্গে বরণ করা হল।
গম্ভীর শুকনো বক্তৃতা নয়, মুখ্যমন্ত্রী যখন বলতে উঠলেন, প্রথম থেকেই ছিল বৈঠকি মেজাজ। মুখ্যমন্ত্রী যখন একে একে মঞ্চে উপস্থিত সবার নাম বলতে শুরু করলেন, সোহম অনুযোগ করলেন, তাঁর নাম বাদ পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সহাস্য জবাব, বাদ দিয়েছি? ভেরি স্যাড। সঞ্চালক যীশু সেনগুপ্ত ও পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ও যখন মুখ্যমন্ত্রীকে নাম বাদ দেওয়ার অপবাদে দুষলেন, তখন মমতাই জবাব দিলেন, অ্যাই, তোমাদের নাম সবার আগে বলেছি!
মুখ্যমন্ত্রী আনলেন অমিতাভ বচ্চনের অসুস্থতা ও তাঁর না আসার প্রসঙ্গ। বললেন অসুস্থ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের না আসতে পারার কথা। আনলেন সত্যজিৎ রায় থেকে ঋতুপর্ণ ঘোষের কথাও। তাঁর ভাষণে ‘বেস্ট বয়’ তকমা পেলেন শাহরুখ। কলকাতার ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে যদি তিনি ‘ছুটি’ নেন, তাহলে দিদি হিসেবে তিনিও ‘আড়ি’ করে দেবেন, স্পষ্ট বললেন, মমতা। সৌরভকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত মমতা বললেন, এরা যেন একই বৃন্তে দু’টি কুসুম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের দুর্গাপুজোয় কলকাতায় আসার নিমন্ত্রণও করলেন তিনি। তবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মহেশ ভাট যেভাবে ঐক্য ও মানুষের নিজের ভাষা নিয়ে সওয়াল করলেন, তার সুর টেনে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সারা ভারতকে নিয়ে চলতে চাই। আমরা যোগ্যতার সঙ্গে বাঁচব। সকলকে নিয়ে বাঁচব। কোনও নেগেটিভ চিন্তাভাবনার স্থান নেই আমাদের কাছে। আমরা যেমন হিংসা করি না, তেমনই কোনও বাধা মানি না। এটাই আমাদের মন্ত্র। মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা নিয়ে যখন শেষ হল মূল অনুষ্ঠান, তখন স্টেডিয়াম ছাড়তে মন চাইছিল না দর্শকের। স্টারডমের উত্তাপ ফেলে আসতে চাইছিলেন না কেউই।