সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
প্রসঙ্গত, ঘটনাটি ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিলের। পুলিস, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল সহ বিভিন্ন সংস্থার দ্বারস্থ হয় কুহেলির বাড়ির লোকজন। গাফিলতিতে রোগীমৃত্যুর ধারায় মামলাও শুরু করে পুলিস। অন্যদিকে, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল অভিযোগের জন্য শুনানি শুরু করে। হাসপাতালের তরফে পেডিয়াট্রিক সার্জেন ডাঃ বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায়, মেডিক্যাল সার্ভিস-এর ডিরেক্টর ডাঃ সুজয় কর এবং সরকারি মেডিক্যাল কলেজের একজন সিনিয়র অধ্যাপক ঘটনার তদন্ত করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে, রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর ঘটনাটির জন্য রিপোর্ট তলব করে।
কুহেলির পরিবারের তরফে তখন জানানো হয়, কিছুদিন ধরে পায়খানার সঙ্গে রক্তের সমস্যার জন্য বাচ্চাটিকে জোকার ইএসআই হাসপাতালে দেখানো হয়। তারা কোলোনোস্কপি করতে বলে। সেইমতো এই পরীক্ষা করাতে ১৫ এপ্রিল তাকে বাইপাস লাগোয়া ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পয়লা বৈশাখের সেই দিনটায় তাকে দেখার মতো কোনও বাচ্চাদের ডাক্তারই ছিল না। পরের দিনও ছিল একই অবস্থা। তারপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, কোলোনোস্কপি হবে। অত ছোট বাচ্চাকে প্রায় আট ঘণ্টা খাবার ও তরল পানীয় ছাড়াই রাখা হয়। শেষে জানানো হয়, কোলোনোস্কপি সেদিন হবে না। অন্য এক চিকিৎসক পরের দিন করবেন। ফলে পরের দিন পর্যন্ত ওকে না খাইয়ে রাখা হয়। কোলোনোস্কপির আগে ডাক্তারদের বারবার সাবধান করে বলা হয়, ও খুব দুর্বল। বড় বিপদ হতে পারে। আপনারা যা করবেন, ভেবেচিন্তে করুন। অভিযোগ, তা সত্ত্বেও প্রসিডিওর করা হয় এবং অ্যানাসথেসিয়া দেওয়ার পর কুহেলির কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। এরপর ভেন্টিলেশনে পাঠানো হলেও বাঁচানো যায়নি।