বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
তিনি বলেন, পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে অস্বচ্ছ কাজকর্ম, আর্থিক দুর্নীতি ও কাটমানির বিষয় নিয়ে এলাকার মানুষ এখন আমাদের দলের কাছে আসছেন। প্রচুর অভিযোগ জমা দিচ্ছেন। ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের দুই তৃণমূল কাউন্সিলার সোনালি রায় এবং টুম্পা দাসের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। তাতেই কাটমানির কথা বলা হয়েছে। তবে অরিজিৎবাবু অবশ্য স্বীকার করেছেন, কাউন্সিলারদের বিরুদ্ধে কাটমানি খাওয়ার প্রমাণ এখনও তাঁরা হাতে পাননি। তবে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগের স্বপক্ষে ভিডিও রয়েছে। এদিকে, শাসকদলের দুই কাউন্সিলার এইসব অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই বলে দাবি করেছেন। সোনালি রায় বলেন, আমার ওয়ার্ডে বেশ কয়েকটি দেওয়ালে পোস্টার পড়েছে। তাতে বলা হয়েছে, তৃণমূলের নেতারা কাটমানি খেয়েছে। টাকা ফেরত দাও। সেখানে কাউন্সিলার হিসেবে আমার কোনও নাম নেই। কিন্তু কোনও প্রমাণ ছাড়াই বিজেপি আমার নাম জড়িয়ে অভিযোগ তুলেছে। যা কখনই করা যায় না। আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে, তা আগে পুর চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের শীর্ষস্তরে জমা পড়ত। চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলছি, এমন কোনও নথি দেখাতে পারবে না বিজেপি। তা হলে কীসের ভিত্তিতে আমার নাম জড়িয়ে দেওয়া হল? তিনি বলেন, বিষয়টি বিধায়ক ও চেয়ারম্যানকে বলেছি। ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার টুম্পা দাস বলেন, মিডিয়ার সামনে কোনও অভিযোগ করার আগে বিজেপির ওই নেতার উচিত ছিল, প্রমাণ জোগাড় করা। এই ওয়ার্ডে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেছি বলেই দু’টি টার্মে নাগরিকরা আমাকে জিতিয়ে এনেছেন। কাজে অস্বচ্ছতা থাকলে মানুষ এতদিনে আমাকে ছুঁড়ে ফেলে দিত। তিনি বলেন, আসলে আমার ওয়ার্ডে অরিজিৎবাবুর বাড়ি। ওঁর রেশন দোকান রয়েছে। সেখানে রেশন দেওয়ার বিষয় নিয়ে বিস্তর অভিযোগ। নতুন কার্ড হোল্ডারদের সরকারি নিয়ম মেনে রেশন দেওয়া হয় না। মানুষ এ নিয়ে বারবার আমার কাছে এসেছেন। তা নিয়ে দোকানে গিয়ে দরবার করেছি। কেন এমন হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছি। তাই ওই বিজেপি নেতার ক্ষোভ রয়েছে। এই মিথ্যা অভিযোগের পিছনে সেই ক্ষোভ কাজ করেছে বলে দাবি কাউন্সিলারের। এ নিয়ে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে মামলা করারও হুমকি দেন টুম্পাদেবী। অরিজিৎবাবু বলেন, ওই রেশন দোকান আমার পরিবারের অন্য এক সদস্যের। এর সঙ্গে আমার ও দলের কোনও সম্পর্ক নেই। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পল্লব দাস বলেন, বিজেপির ওই অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই। কারণ, কাউন্সিলাররা কাটমানি নিলে তা নির্দিষ্ট ফোরামে প্রমাণ সহ জানাতে হয়। এ যাবৎ কেউ এমন অভিযোগ করেনি। স্বাভাবিকভাবে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য কেউ মিথ্যা বললে মানুষ তা মেনে নেবে না। সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক জীবন মুখোপাধ্যায় বলেন, বিজেপির পায়ের তলায় মাটি নেই। সেই কারণে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে বাজার গরম করতে চাইছে।