বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়াকে বাইক বাহিনী হেনস্তা করার পর, রাতের শহরে বেড়েছে পুলিসি তৎপরতা। ঘটনার পরই পুলিস কমিশনার স্পষ্ট নির্দেশ দেন, যে কোনওভাবেই হোক বেপরোয়া বাইক বাহিনীর দাপট কমাতে হবে। হেলমেটহীন বাইক চালককে ধরতে হবে। তারপরই কলকাতা জুড়ে রাত ৯টার পর শুরু হয়েছে নাকা চেকিং। বিভিন্ন রাস্তায় ব্যারিকেড লাগিয়ে চলছে তল্লাশি। আইন ভঙ্গকারীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের জরিমানা। বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে মোটরবাইকও। এই কাজ করতে গিয়ে বেপরোয়া বাইক চালকরা সোমবার প্রায় ১০০ মিটার টেনে নিয়ে যান এক কনস্টেবলকে। যিনি এখন চিকিৎসাধীন।
এই ধরপাকড়ের জেরে হেলমেটহীন বাইকচালকরা যে কোনওভাবেই হোক পুলিসকে এড়িয়ে চলতে মরিয়া। কর্তব্যরত পুলিস কর্মীদের চোখে ধুলো দিয়ে পালানোর সময় অনেকেই ধরা পড়ে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার রাতে থানা ও ট্রাফিক বিভাগের যৌথ নাকা চেকিং চলছিল। বেপরোয়া বাইক ও হেলমেট বিহীন বাইক চালকের কাছ থেকে চলছিল জরিমানা আদায়। এই সময় মৌলালির দিকে আসছিলেন এক বাইক চালক। পিছনে বসে ছিলেন তাঁর এক সঙ্গী। তাঁদের কারও মাথাতেই হেলমেট ছিল না। নাকা চেকিং দেখে বাইকের গতি বাড়িয়ে দেন ওই চালক। পুলিসি জরিমানার ভয়ে সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করেন। এই সময় একটি লরি টাক্সির পিছনে ধাক্কা মারে। ট্যাক্সিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁদের বাইকের সামনে এসে পড়ে। ধাক্কা মারে বাইকটিকে। তাতে ছিটকে পড়েন দু’জনেই। সঙ্গে সঙ্গে কর্তব্যরত পুলিস কর্মীরা এগিয়ে এসে তাঁদের উদ্ধার করেন। বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে যান তাঁরা।
তবে নাকা চেকিংয়ের জেরে শহরে রাস্তায় বাইক বাহিনী যে পুলিসকে ভয় পেতে শুরু করেছে, এই ঘটনা থেকেই তা পরিষ্কার। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এমন চেকিং বন্ধ ছিল। দ্বিতীয়বার সিপি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার অনুজ শর্মা নাকা চেকিং থেকে শুরু করে কোর পুলিসিংয়ের উপর জোর দিতে চাইছেন। যাতে আইনশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে বাইকচালকদের দাপট কমে। পাশাপাশি দুর্ঘটনা কমানোই তাঁর লক্ষ্য। নাকা চেকিং চালিয়ে এই ক’দিনে আইনভঙ্গকারী বাইক ও গাড়ি চালকদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা জরিমানা বাবদ আদায় করেছে কলকাতা পুলিস।