নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: সেচমন্ত্রীর নির্দেশে জেলার নদী বাঁধগুলি পরিদর্শন করে রাজ্য দপ্তরে রিপোর্ট পাঠাল জেলা সেচ দপ্তর। জেলায় বাঁধগুলি কী অবস্থায় রয়েছে, কতগুলি বাঁধের অবস্থা খারাপ সেই সম্পর্কে জেলা সেচ দপ্তরের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিলেন সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সেই মতো সেচ দপ্তরের অফিসাররা প্রতিটি বাঁধ পরিদর্শন করেন। তাঁরা কয়েকটি জায়গাকে দুর্বল হিসেবে চিহ্নিত করেন। সেইমতো সেখানে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ হয়েছে। চলতি বর্ষায় ডিভিসি খুব বেশি পরিমাণ জল একসঙ্গে না ছাড়লে বিপদের আশঙ্কা নেই বলেই সেচ দপ্তরের অফিসাররা মনে করছেন। আগামী নভেম্বর মাসের পর ওই জায়গাগুলি ভালো করে মেরামত করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। মূলত প্রতি বছর ডিভিসির ছাড়া জলে উদয়নারায়ণপুর ও আমতার বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যা হয়। গত আট বছরে বেশ কিছু শর্টকাট চ্যানেল তৈরি ও খালগুলি সংস্কার হওয়ায় গত বছর অবশ্য সেভাবে বন্যা হয়নি। এবার তাই আগে থেকেই প্রস্তুতি নিল সেচ দপ্তর।
রাজ্যের সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, কয়েকটি জায়গাকে দুর্বল বলে অফিসাররা চিহ্নিত করেছিলেন। গত ১৫ জুনের মধ্যে সেখানে প্রয়োজনীয় কাজ করা হয়েছে। ফলে এবার বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা নেই। তা সত্ত্বেও সেচ দপ্তরের অফিসারদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই আমরা জানিয়ে দিয়েছি, নভেম্বর থেকে জুন মাস পর্যন্ত সেচ দপ্তরের কাজ হবে। বর্ষায় কাজ হয় না। তা সত্ত্বেও আমাদের অফিসার ও কর্মীরা সতর্ক আছেন।