বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
কথিত আছে— বহু বছর আগে কাঁড়ার পরিবারের বাড়ির পুকুর থেকে শিলাখণ্ড রূপে দামোদর দেবের আবির্ভাব ঘটে। তারপর থেকেই নিত্যপূজার মাধ্যমে এই দেবতার পূজার্চনা করে আসছেন পরিবারের সদস্যরা। তবে প্রতি বছর এই দিনে রথে চাপিয়ে পরিবারের আরাধ্য দেবতাকে গ্রামে ঘোরানোর রীতি আজও গ্রামের প্রাচীন ঐতিহ্যকে বহন করে চলেছে। আর যার টানে বছরের এই বিশেষ দুটি দিনে শুধু উদং গ্রাম নয় আশপাশের গ্রামগুলি থেকেও মানুষ ছুটে আসেন এই রথ টানতে।
পরিবারের এক সদস্য শ্যামসুন্দর কাঁড়ার বলেন, রথের দিন সকাল থেকে বাড়ির মন্দিরে দেবতার পুজোর পাশাপাশি রথ সাজানোর কাজ চলে। পরে বিকালে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র, আতশবাজি সহ শোভাযাত্রা সহকারে পাল্কিতে চাপিয়ে দামোদর দেবতাকে রথে অধিষ্ঠান করার পর তিন ধাপে ঘোরানো হয়। পরে রাতে বাদ্যযন্ত্র, মশাল, আতশবাজি সহকারে পুনরায় মন্দিরে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়। তিনি জানান, উল্টো রথের দিন একইভাবে দেবতাকে রথে চাপিয়ে ঘোরানোর পর একটি কৃত্রিম পুকুর কাটিয়ে তাতে দামোদরকে স্নান করিয়ে মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয়। রথের দিন দড়িতে টান দিতে আসা প্রতিটি মানুষকে নাড়ু ও জিলিপি খাওয়ানোটা পরিবারের প্রাচীন রীতি, যেটা আজও চলে আসছে।
তিনি বলেন, অতীতে প্রায় ৩০ ফুটের রথটি নির্মাণের জন্য ঘাটশিলা থেকে প্রায় ২ নৌকা কাঠ আনা হয়েছিল। যদিও পরবর্তী পর্যায়ে কাঠের রথটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় নতুন লোহার রথ তৈরি হয়। যদিও স্মৃতি হিসাবে প্রাচীন এই রথের চাকা ও কিছু অংশ রয়ে গিয়েছে। তিনি জানান, আগে ৭ দিন ধরে রথের মেলা চললেও বর্তমানে রথ এবং উল্টো রথের দিন শুধুমাত্র মেলা বসে। স্থানীয় বাসিন্দা পৃথ্বীরাজ কুন্তী বলেন, প্রাচীন এই রথযাত্রা শুধুমাত্র মানুষের মেলবন্ধন ঘটানো নয়, গ্রামের প্রাচীন ঐতিহ্য-সংস্কৃতি বহন করে আসছে। আজ যেটাকে কেন্দ্র করে এই রথযাত্রা এক মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।