বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে দলের মূল সংগঠনের সঙ্গে যুব শিবিরের মন কষাকষি অনেকদিন ধরে চলছে। অধিকাংশ জায়গাতে মূল সংগঠনের নেতাদের কোণঠাসা করে যুব শাখা এখন ছড়ি ঘোরাচ্ছে। সেই একই চিত্র বজবজ বিধানসভা কেন্দ্রের বজবজ পুরসভা জুড়ে। লোকসভা নির্বাচনে পুরসভার ২০টি ওয়ার্ডে তৃণমূল ভাল ফল করতে পারেনি। তাদের হাতে থাকা একাধিক ওয়ার্ডে বিজেপির কাছে হারতে হয়েছে। তাতে দলের মূল সংগঠনের সঙ্গে যুবর বিরোধ আরও বেড়েছে। প্রসঙ্গত, মোট ২০টির মধ্যে ১৯টি তৃণমূল দলের হাতে। বাকি ১টি সিপিএমের। এবার লোকসভা নির্বাচনে ১৯টির মধ্যে ১১টিতে জোড়া ফুল জিতেছে। বাকি ৯টিতে তৃণমূল হেরে গিয়েছে বিজেপির কাছে। তা নিয়ে দলের ভিতর উভয় শিবিরের মধ্যে চাপানউতোর চলেছে। এই হারের জন্য যুব থেকে মূল সংগঠনের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে। এই বিবাদের জেরে বজবজ টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতির পদ থেকে গত ১১ জুন পদত্যাগ করেন গৌতম দাশগুপ্ত। তিনি পদত্যাগের কারণ হিসেবে বলেছিলেন, আশানুরূপ ফল হয়নি। তাই এর দায় ঘাড়ে নিয়ে তিনি পদত্যাগ করলেন।
দলের একটি অংশ বলছে, যুব শিবিরের সঙ্গে নানা ইস্যুতে সংঘাতের জেরে মূল সংগঠনের নেতা ও পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান গৌতমবাবু কাজ করতে পারছিলেন না। সেই কারণে যুব সভাপতি থেকে সরে গিয়েছেন। যুব শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে, এতদিন ধরে বজবজ টাউন যুব সভাপতির পদে কাউকে নেওয়া হয়নি। মঙ্গলবার সেই কারণে বজবজের একটি বেসরকারি অতিথিশালায় যুব শিবিরের পক্ষ থেকে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। ঠিক হয়েছিল, মূল সংগঠন ও যুব শিবিরের সকলের উপস্থিতিতে টাউন যুব সভাপতি এবং কুড়িটি ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি নিয়োগ করা হবে। সেজন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বিধায়ক অশোক দেব, চেয়ারম্যান ফুলু দে, ভাইস চেয়ারম্যান গৌতম দাশগুপ্ত, জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শ্রীমন্ত বৈদ্য ও তৃণমূল কাউন্সিলারদের। কয়েকজন যুব শিবিরের অনুগত কাউন্সিলার যথারীতি বৈঠকে যান। কিন্তু বজবজ পুরসভার চেয়ারপার্সন, ভাইস চেয়ারম্যান, বিধায়ক ও ১০টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলাররা গরহাজির থাকায় বৈঠক শেষ পর্যন্ত ভেস্তে যায়। দলের অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে বজবজ এ ফের গোষ্ঠী কোন্দলের বিষয়টি আরও একবার সামনে এসে গেল।