যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মালা রায় বলেন, চূড়ান্ত অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের কারণে শেষদিনের প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হল। যাই হোক, আমার কেন্দ্রের ২০৩১টি বুথে পোলিং এজেন্টদের জন্য কাগজপত্র তৈরির কাজ, বাড়ি বাড়ি ভোটার স্লিপ দিয়ে আসার কাজ কতটা এগিয়েছে, সে সব তদারকি করলাম এদিন। অন্যান্য দিনের তুলনায় পরিশ্রম কম হয়েছে ঠিকই, তবে ভোট না মিটলে টেনশন যাচ্ছে না। তারপর আবার কাউন্টিং এজেন্টদের প্রস্তুত করতে হবে। এই কেন্দ্রের বামফ্রন্ট প্রার্থী নন্দিনী মুখোপাধ্যায় বলেন, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় আমাদের পতাকা, প্রচারমূলক হোর্ডিং ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। এসব নিয়ে ডেপুটেশন দেওয়ার জন্য আমরা এদিন এই কেন্দ্রের পর্যবেক্ষকের কাছে গিয়েছিলাম। তিনি আমাদের সময় দিয়েও থাকেননি। কিছুটা পরে আবার সময় দেন। পোলিং এজেন্টদের কাগজপত্র ও অন্যান্য প্রস্তুতির দিকটি দেখছেন আমাদের সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহা আবার এদিন নির্বাচন কমিশনে গিয়ে তাঁর কেন্দ্রে ভোটগ্রহণে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম চালু করার আবেদন জানান। তিনি বলেন, ৫০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছে কমিশন।
শুধু কলকাতা নয়, পার্শ্ববর্তী দমদম কেন্দ্রের প্রার্থীরাও শুক্রবার সারাদিন ব্যস্ত রইলেন এই ধরনের কাজকর্ম নিয়ে। এই কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সৌগত রায় বলেন, রবিবারের যাবতীয় প্রস্তুতি কিছুটা হলেও এগিয়ে রাখতে পারলাম এদিন। এজেন্টদের দেওয়ার জন্য ভোট প্যাকেট তৈরি করতে হয়েছে। সেখানে ভোটার লিস্ট এবং আরও অন্যান্য জিনিস থাকে। দুপুরে এক কর্মীর বাড়িতে এসেছি। সন্ধ্যায় উত্তর দমদমে দলীয় এজেন্টদের নিয়ে বৈঠক করব। বিজেপি প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এদিন দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেছি। আমাদের কর্মীদের চমকানো হচ্ছে। এদিন সকালে নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিলাম। সিপিএম প্রার্থী নেপালদেব ভট্টাচার্য বলেন, যেটা শনিবার করার কথা ছিল, নির্বাচন কমিশনের সৌজন্যে সেটা এদিন করছি। রথতলার অফিসে এসেছি। দুপুরে বাড়িতে খেতে গিয়েছিলাম। এরপর বুথ এজেন্টদের নিয়ে বৈঠক হবে। এদিকে, লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের ধকল সহ্য করতে না পেরে দমদম কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী সৌরভ সাহা গত এক সপ্তাহ ধরে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। কবে ছাড়া পাবেন এদিন দুপুর পর্যন্ত জানা যায়নি। তিনি সেখানেই এদিন দিনভর পার্টির নেতাদের সঙ্গে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করেছেন বলে তাঁর পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে।
যাদবপুর কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য গত প্রায় দু’মাস ধরে আইনি পেশার কাজ কার্যত শিকেয় তুলে রেখেছেন। এদিন বাড়তি অবসরের দিনেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। সকালে ধবধবিতে একজন পরিচিতের বাড়ি হয়ে বারুইপুর ও যাদবপুরের দলীয় কার্যালয়ে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কিছু প্রয়োজনীয় কথাবার্তা সেরে নেন। ফোনে কথা বলেন পঞ্চসায়র ও পূর্ব যাদবপুর থানার ওসি’র সঙ্গে। সন্ধ্যায় ফের একবার পার্টি অফিসে ঢুঁ মারেন বিকাশবাবু। তবে তাঁর কথায়, অসহ্য গরমে দিনের পর দিন প্রচারে বেরনোর ধকল এদিন না থাকায় তুলনামূলকভাবে অনেকটা স্বস্তিতে কাটিয়েছেন দিনটি। বাড়তি বিশ্রামের সুযোগও পেয়েছেন। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের সেলিব্রিটি প্রার্থী মিমি চক্রবর্তীর কাছে দিনটি ছিল দীর্ঘ কয়েকদিনের টানা পরিশ্রমের পর বিশ্রামের। দিনভর বাড়িতে থাকার ফাঁকেই একবার পার্লারে যাওয়া ছাড়া বাইরের জগতের সঙ্গে তেমন কোনও সম্পর্ক রাখেননি তিনি। দলের সংগঠনের উপর অগাধ ভরসাই তাঁকে এই টেনশনহীন বিশ্রামের সাহস জুগিয়েছে বলে মিমির অকপট স্বীকারোক্তি।