যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
জি টি রোড ধরে ব্যান্ডেল মোড় হয়ে পোহলবার রাজহাট পর্যন্ত দিল্লি রোডের দিকে কোরোলা মোড় থেকে রাজহাট পর্যন্ত রাস্তার দুই ধারে আম, জাম, বাঁশঝাড়ের পাশাপাশি কয়েকশো লিচু গাছ রয়েছে। প্রত্যেক বছর ডিসেম্বর নাগাদ গাছে বোল আসার আগে লিচু গাছের মালিকরা সেগুলি লিজ দিয়ে দেন। আর গাছের পাতা দেখেই কেমন লিচু ফলতে পারে তা অনুমান করে লিজ নেন চাষিরা। লিচু চাষি জয়দেব সরকার বলেন, গাছ লিজে নেওয়ার পরে জল ও ওষুধ করে গুটি আসা পর্যন্ত প্রতিটি গাছের জন্য প্রায় হাজার দশেক টাকা খরচ হয়। আর মোটামুটি ফলন হলে একটি গাছ থেকে কুড়ি হাজার টাকার মতো আয় হয়।
জয়দেববাবু বলেন, কয়েক বছর আগেও গাছ থেকে লিচু পেড়ে পাইকারি বিক্রির জন্য আমাদের বাজারে নিয়ে গিয়ে দোকানে পৌঁছে দিতে হত। কিন্তু এখন সাধারণ ক্রেতা থেকে ব্যবসায়ী সকলেই আম ও লিচু কেনার জন্য সকাল থেকে হাজির হচ্ছেন। ফলে আম বা লিচু পাড়ার পর গাছের গোড়াতেই সব বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। মূলত ভেজাল ছাড়া টাটকা ফল পাওয়ার জন্যই ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও হাজির হচ্ছেন। বাজারের থেকে কিছু কম ও পাইকারি দামের থেকে একটু বেশি দাম দিয়ে সাধারণ মানুষ লিচু ও আম কিনছেন। স্বাভাবিকভাবে পাইকারি দামের থেকে বেশি দামে বিক্রি করতে পেরে আমাদের আয়ও কিছুটা বাড়ছে।
সুবোধ দাস নামে আরেক লিচু চাষি বলেন, আগের তুলনায় এখন চাষের খরচ অনেকটাই বেড়েছে। গাছের ওষুধপত্রের দাম বেড়েছে পাশাপাশি তাল মিলিয়ে বেড়েছে বাদুড় ও চামচিকের উপদ্রব। আগে সামান্য পয়সার জাল কিনে গাছের উপর বিছিয়ে দিলে বাদুড়-চামচিকার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যেত। কিন্তু বনদপ্তরের করা নির্দেশের পর জাল বিছানো বন্ধ। তাই বাদুড় ও চামচিকে তাড়াতে প্রতিদিন বেশি টাকা খরচ করে রাতে আতসবাজি পোড়াতে হয়। তবে চাহিদা বাড়ায় আম বা লিচু পেড়ে বাজারে নিয়ে যেতে না হওয়ায় হয়রানি অনেকটাই কমেছে।