বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
হলদিয়ার মৎস্য সম্প্রসারণ আধিকারিক সুমনকুমার সাহু জানিয়েছেন, পেংবা মাছ খুব সহজেই যেমন আমাদের বাড়ির পুকুরে চাষ করা যায়, তেমনই কৃত্রিম খাবার খাইয়ে বাণিজ্যিকভাবে এই মাছটি চাষ করা সম্ভব। তাঁর মতে, সাধারণ পুকুরে বা বাণিজ্যিকভাবে মাছের উৎপাদন বাড়াতে কার্প জাতীয় মাছ ( রুই, কাতলা, মৃগেল) এর সঙ্গে অন্যান্য মাছের মিশ্র চাষ করা গেলে সার্বিক উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
যেসব প্রজাতির মাছ রাক্ষুসে স্বভাবের নয়, খাবার নিয়ে প্রতিযোগিতা করে না, জলাশয়ের বিভিন্ন স্তরে বাস করে এবং বিভিন্ন স্তরের খাবার গ্রহণ করে, এমন প্রজাতির মাছ একসঙ্গে চাষ করলে উৎপাদন বাড়বে।
এদিক থেকে পেংবা যথেষ্ট সম্ভাবনাময়। রাজ্যে এই মাছটি একেবারে নতুনও বটে।পেংবা রাক্ষুসে স্বভাবের মাছ নয়। ফলে এদের সাধারণ পুকুর, ডোবায় রুই, কাতলার সঙ্গে সহজেই চাষ করা যায়। বাণিজ্যিকভাবেও রুই, কাতলার সঙ্গে এই মাছের চাষ অত্যন্ত লাভজনক।
মৎস্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, চীনের ইউনান প্রদেশ, মায়নামারের চীন্দুইন নদী এবং ভারতের একমাত্র রাজ্য মণিপুরে ইম্ফল নদী ও লোকতাল লেকে প্রাকৃতিকভাবে পেংবা মাছ পাওয়া যায়। যদিও অনেক কারণে মণিপুরের অত্যন্ত সুস্বাদু পেংবা মাছ হারিয়ে যেতে বসেছে। কিন্তু আশার কথা এই যে, পেংবা মাছের চাষ শুরু হয়েছে আমাদের রাজ্যে। মণিপুরে ৬৫০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় এই মাছটি। অসাধারণ স্বাদের জন্য মণিপুরে সরকারি উদ্যোগে পেংবা দিবস পালন করা হয়ে থাকে।
হলদিয়ার চাউলখোলা গ্রামের মৎস্যচাষি সুব্রত মাইতি সরকারি অনুদানে হ্যাচারি তৈরি করেছেন। সেখানে তিনি অন্যান্য মাছের সঙ্গে পেংবা, আমুর কার্প, কই প্রভৃতি মাছের প্রজনন করছেন। সুব্রতবাবু জানিয়েছেন, কয়েক দিনের মধ্যে তিনি পেংবা মাছের তিন লক্ষ ডিমপোনা ফুটিয়েছেন। দারুণ চাহিদা রয়েছে। হলদিয়ার দ্বারিবেড়িয়া গ্রামের অরুপ মন্ত্রী, পঞ্চানন মন্ত্রী, মৃন্ময় সামন্ত, বসানচক গ্রামের শরৎ ভৌমিক, চকলালপুর গ্রামের সফি আহমেদ, বাড়ঘাসিপুরের কৃষ্ণপ্রসাদ সামন্তর মতো প্রগতিশীল মৎস্যচাষিরা সাফল্যের সঙ্গে পেংবা মাছের চাষ করছেন। তাঁদের দাবি, মণিপুরের থেকেও এখানে মাছটির বৃদ্ধির হার দ্রুত। হলদিয়ার বাজারে ইতিমধ্যে পরিচিতি পেয়েছে এই নয়া মাছ।