সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
প্রথম ম্যাচে ভারতের ব্যাটিং খুব একটা ভালো হয়নি। আগে ব্যাট করে ১৪৮ রান তুলতে সক্ষম হয় টিম ইন্ডিয়া। তবে টি-টোয়েন্টিতে এটা একেবারে খারাপ স্কোরও নয়। কিন্তু সাদামাটা বোলিংয়ের সঙ্গে নিম্নমানের ফিল্ডিং হার নিশ্চিত করে দেয় রহিত ব্রিগেডের। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে টাইগারদের জয়ের নায়ক মুশফিকুর রহিমের সহজ ক্যাচ ছেড়েছেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। তবু সে সব আর মাথায় রাখতে নারাজ রহিত। তিনি বলেন, ‘আগে কী হয়েছে না হয়েছে, তা নিয়ে আর ভাবছি না। এখন আমাদের নতুন লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। আমার বিশ্বাস, দিল্লির ব্যর্থতা কাটিয়ে রাজকোটে সেরা ছন্দ ফিরে পাবে দল। এই ম্যাচে সব বিভাগেই উন্নতি করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’
দিল্লির মতো উইকেটে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১৪৮ রান ডিফেন্ড করা খুব একটা কঠিন কাজ ছিল না। ভারতীয় পেসাররা আরও একটু কার্যকরী হলে ভারত ম্যাচটা জিততে পারত বলে মনে করেন রহিত। তাই রাজকোটে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খেলতে নামার আগে দলে পরিবর্তনের আভাস দিলেন টিম ইন্ডিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন অধিনায়ক। রহিত জানিয়ে দিলেন নতুন ভেন্যুতে অন্যরকম পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর দলের। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি দিল্লির পিচ অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল। এমন উইকেটে কখনোই বড় রান সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। তাই ১৪৮ রান তোলার পর তা ডিফেন্ড করা উচিত ছিল আমাদের। কিন্তু বোলাররা প্রত্যাশা অনুযায়ী বোলিং করতে পারেনি। ভালো হয়নি ফিল্ডিংও। রাজকোটে আমরা ভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামব।’ সেই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘ম্যাচ শুরুর আগে পিচ দেখেই বোলিং লাইন-আপ নিয়ে ভাবব। ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন আনার প্রয়োজন হবে না। অন্য ফরম্যাটে আমাদের দল নির্দিষ্ট। তবে টি-টোয়েন্টিতে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়। এখানে খেলেই তরুণরা টেস্ট এবং ওয়ান ডে’র জন্য প্রস্তুত হয়। ২০ ওভারের ম্যাচ উঠতি ক্রিকেটারদের কাছে সিঁড়ি হিসেবে কাজ করে। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা সত্ত্বেও সিরিজ বাঁচাতে এই ম্যাচে আমাদের জিততে হবে। এটাই এখন আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।’
সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার প্যাকটিস শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে কথা বলার সময় আচমকা মেজাজ হারাতে দেখা যায় রহিতকে। তিনি যখন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন, ঠিক সেই সময় হঠাৎ করে এক সাংবাদিকদের মোবাইল ফোন বেজে ওঠে। কথা বলা বন্ধ করে দেন হিটম্যান। তারপর কিছুক্ষণ চুপ থেকে তিনি বলেন, ‘কিপ ইওর ফোন সাইলেন্ট।’ এই সময় রহিতের চোখেমুখে মুখে বিরক্তির ছাপ ছিল স্পষ্ট।