সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
বার্সেলোনা, ৬ নভেম্বর: চাপ ক্রমশই বাড়ছে আর্নেস্তো ভালভার্দের উপর। লা লিগায় লেভান্তের কাছে হারের পরেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছিলেন সমর্থকরা। মঙ্গলবার ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে স্লাভিয়া প্রাগের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করার পর কোচের সমালোচনায় মুখর হন বার্সেলোনা সমর্থকরা। শোনা যাচ্ছে, কোচের পারফরম্যান্সে খুশি নন ক্লাবের শীর্ষকর্তারাও। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারির পর এই প্রথম ঘরের মাঠে গোল পেলেন না মেসিরা। তবে এই ড্রয়ের পরেও গ্রুপ-এফ’এর শীর্ষে রয়েছে কাতালন ক্লাবটি। চার ম্যাচে তাদের সংগ্রহ আট পয়েন্ট। সমসংখ্যক ম্যাচে সাত পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড।
স্লাভিয়া প্রাগের মতো দলের বিরুদ্ধে কেন গোল পেল না বার্সেলোনা? প্রথম কারণ অবশ্যই ওন্দ্রেজ কোলার। ২৫ বছর বয়সী এই চেক গোলরক্ষকের কাছে এসে থেমে গিয়েছে মেসিদের যাবতীয় জারিজুরি। গোটা ম্যাচে কমপক্ষে তিনটি অবিশ্বাস্য সেভ করে দলের নিশ্চিত পতন রোধ করেন তিনি। এছাড়া প্রাগের ক্লাবটির ডিফেন্ডাররাও কাঁধে কাঁধ দিয়ে লড়াই করেছেন। বলা বাহুল্য, এই বার্সেলোনা অতিরিক্ত মেসি নির্ভর। আর্জেন্তাইন মহাতারকাটি ছাড়া এমন কেউ এই দলে নেই যিনি ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে ম্যাচ জেতাতে পারেন। গ্রিজম্যান কিংবা ওসুমানে ডেম্বেলে, এই দু’জনকে নিয়ে যত কম শব্দ খরচ করা যায় ততই ভালো। প্রসঙ্গক্রমে আর্সেনালের প্রাক্তন প্রশিক্ষক আর্সেন ওয়েঙ্গারের মন্তব্য, ‘ভালভার্দের দল খুবই মন্থর। বিপক্ষের ডিফেন্সিভ থার্ডে মেসি ছাড়া অন্য কারও খেলা চোখেই পড়ছে না। তাছাড়া বিপক্ষের প্রতি-আক্রমণ রোখার রসদও নেই বার্সেলোনার।’
চোটের জন্য লুই সুয়ারেজের সার্ভিস এদিন পাননি ভালভার্দে। আপফ্রন্টে মেসির পাশে গ্রিজম্যান এবং ডেম্বেলেকে ব্যবহার করেন তিনি। কিন্তু শেষোক্ত দু’জন নিষ্প্রভ থাকায় বাড়তি দায়িত্ব চাপে এলএমটেনের ঘাড়ে। স্লাভিয়া প্রাগের লক্ষ্য ছিল, রক্ষণ জমাট রেখে উইং দিয়ে প্রতি-আক্রমণ শানানো। বার্সার দুই উইং ব্যাক ওভারল্যাপে উঠে ঠিক সময়ে নামতে পারেন না। তাই পরিকল্পনামাফিক বেশ কিছু আক্রমণ গড়তে পেরেছে প্রাগের ক্লাবটি। মার্ক আন্দ্রে টার স্টেগেন এবং জেরার্ড পিকে ভালো খেলায় গোল হজম করতে হয়নি ভালভার্দে-ব্রিগেডকে। মাঝমাঠে প্রাধান্য বজায় রাখলেও শেষ কুড়ি গজে বড়ই ম্রিয়মাণ ছিল বার্সেলোনা। তবে ৩৫ মিনিটে বিপক্ষের তিন ফুটবলারের কভারিং এড়িয়ে নেওয়া মেসির বাঁ পায়ের শট ক্রসপিসে আছড়ে পড়ে। এছাড়া এই পর্বে সহজ সুযোগ নষ্ট করেছেন ডেম্বেলে, সেমেডোর, ভিদালরা।
দ্বিতীয়ার্ধে সের্গি রবার্তো এবং আনসু ফাতিকে পরিবর্ত হিসেবে নামান বার্সেলোনা কোচ। তবে তাতে লাভের লাভ কিছু হয়নি। আক্রমণের চাপ বজায় রাখলেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা মেলেনি। ৭৮ মিনিটে ফাতির পাস থেকে নেওয়া মেসির ফ্লিক যেভাবে রুখে দেন স্লাভিয়া প্রাগ কোলার তারজন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। ফ্রি-কিক থেকেও গোল করার চেষ্টা ব্যর্থ হয় মেসির। শেষপর্বে সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি ভিদাল ও ইভান র্যাকিটিচ। ঘরের মাঠে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দলের বিরুদ্ধে ড্র করায় ম্যাচ শেষে ন্যু ক্যাম্পের গ্যালারি থেকে ভালভার্দের উদ্দেশ্যে ভেসে আসে বাছাই করা খেদোক্তি।