পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ
পুরুলিয়ার তৃণমূল প্রার্থী শান্তিরামবাবুর সঙ্গে সাধারণ মানুষের যোগযোগটা এই পর্যায়েই। কিন্তু, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি নিজের কেন্দ্রেই ভোটে পিছিয়ে ছিলেন। এর কারণ অতি আত্মবিশ্বাস। তিনি ভেবেছিলেন চেনা পিচে ব্যাটিংয়ের দরকারই নেই। কেন্দ্রগুলিতে যাননি। যার খেসারত দিতে হয়েছিল। মাত্র কয়েকশো ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন শান্তিরামবাবু। লোকসভা নির্বাচনে সেই ভুল শুধরে নিলেন। ঘুরলেন নিজের এলাকার বুথ সহ লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন কেন্দ্রে। কখনও বা ফোনে কর্মীদের নির্দেশ দিলেন বুথ কামড়ে পড়ে থাকার।
শান্তিরামবাবু খালি পায়ে বাড়ির কুলদেবতা সন্ন্যাসী থানে প্রণাম করে এদিন ভোট যুদ্ধে নামেন। গাড়াফুসড়ো গ্রামের ১৬ নম্বর বুথে তিনি ভোট দেন। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি অভিযোগ তোলেন, সকাল থেকে ফোনে সব এলাকায় মনিটরিং করছি। সংখ্যালঘু এলাকায় অতি সক্রিয়তা দেখাচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বলরামপুর বিধানসভার গাড়াফুসড়ো গ্রামে আদি বাড়ি শান্তিরামবাবুর। স্থানীয় তৃণমূল কর্মী দরিপকুমার ওঝা বলেন, গাড়াফুসড়ো এলাকা থেকে উনি বরাবর আড়াই হাজার ভোটে লিড পেয়ে এসেছেন। শেষবার তিনি এখানে সময় দেননি। অভিমানে মানুষ তাঁকে ভোট দেয়নি। দুঁদে রাজনীতিবিদ শান্তিরামবাবু ছ’বারের এমএলএ। ১০ বছর রাজ্যের মন্ত্রী। একুশের নির্বাচনেও জয় নিয়ে ছিলেন আত্মবিশ্বাসী। যে কারণেই হয়েছিল ভুল। এদিন নিজের ভুল স্বীকার করে শান্তিরামবাবু বলেন, ভুল হয়েছিল এখানে না এসে। এখান থেকেই প্রায় হাজার খানেক ভোট কম পেয়েছিলাম। একুশের নির্বাচনে ৪২৩ ভোটে হেরে যাই। এদিন সকালে তৃণমূল প্রার্থীর বাড়ির গড় সামলাচ্ছিলেন রাজীব মাহাত। মাথায় গেরুয়া টিকা পরা রাজীব বলেন, ‘বিজেপি জেলা যুব মোর্চার সভাপতি ছিলাম। আর দলটার সঙ্গে থাকতে পারলাম না। শান্তিরামবাবুর হয়ে ভোট করছি।’ সেই সময় সেখানে এলেন রশিদ আনসারি। মাথায় সাদা টুপি পরা রশিদ লাল চা দিয়ে রাজীবের সঙ্গে হাত মেলালেন। গড় রক্ষার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিলেন। বিশ্বস্ত সৈনিকদের কাঁধে দায়িত্ব দিয়ে শান্তিরামবাবু পুরুলিয়ার উদ্দেশে রওনা দিলেন। যাওয়ার সময় রাস্তায় সিন্দরিগ্রামের বুথগুলিতে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। চাষমোড় এলাকাতেও কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন। গাড়িতে যাতায়াত করার সময় প্রার্থীর তিনটি ফোন বারবার বেজে উঠছিল। সুলেমান নামে একজন ফোন করে জানান, গ্রামের লোকজন ভোট বয়কট করবে বলেছে। শান্তিরামবাবু দ্রুত স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে বয়কট তোলার অনুরোধ করেন। বিস্তীর্ণ গ্রামাঞ্চল ঘুরে এবার তৃণমূল প্রার্থী ঢুকলেন পুরুলিয়া শহরে। টার্গেট করলেন পুরভোটে বিজেপির জেতা ওয়ার্ডগুলিকে। পুরুলিয়া পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মুনসেফডাঙায় তিনি ঢুকতেই নতুন মহিলা ভোটারদের মধ্যে তুমুল উৎসাহ দেখা গেল। তৃণমূলের বুথ ক্যাম্পেই বসেছিলেন স্নেহা বাউরি, সুপ্রিয়া বাউরিরা। প্রার্থীর সঙ্গে তাঁরা সেলফি তোলেন। তাঁরা বলেন, দিদি আমাদের জন্য এত করেছে আমরা দিদির পাশে থাকব না?