পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ
ভগবানপুর বিধানসভার ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে অর্জুননগর, ইটাবেড়িয়া, বরোজ, পটাশপুরের আড়গোয়াল ও মথুরার একাংশ এলাকা সন্ত্রাস-কবলিত এবং উত্তেজনাপ্রবণ। এই এলাকাগুলি মাঝেমধ্যেই তৃণমূল ও বিজেপির সংঘর্ষ, বোমা-গুলির লড়াইয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বৃহস্পতিবারই বিজেপির হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ব্লক তৃণমূল সভাপতি অম্বিকেশ মান্না। সন্ত্রাসের চোরাস্রোতের মধ্যেই গণতন্ত্রের উৎসবে শামিল হল এলাকাবাসী।
পটাশপুরের আড়গোয়ালের মঙ্গলচক ১৬০নম্বর বুথে বিজেপির লোকজনের বিরুদ্ধে ‘নকল’ কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এলাকায় ঢোকার অভিযোগ ওঠে। ভোটের দায়িত্বে থাকা সিআরপিএফ কেন বিজেপির লোকজনের বাইকের পিছনে চেপে আসবে? এই প্রশ্ন তুলে তৃণমূল কর্মী সহ এলাকার লোকজন প্রতিবাদ জানাতে থাকে। বিক্ষোভের জেরে উত্তেজনা ছড়ায়। তখন কেন্দ্রীয় বাহিনী কয়েকজন তৃণমূল কর্মীকে লাঠিপেটা করে বলে অভিযোগ। বিক্ষোভের মাত্রা বাড়ছে দেখে তাড়া খেয়ে শেষে বাইকে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনী পিছু হটে। পরে অতিরিক্ত সিআরপিএফ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তবে তারজন্য ভোটগ্রহণে কোনও প্রভাব পড়েনি। তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য ত্রিলোকেশ দাস বলেন, বিজেপির লোকজনের বাইকে তো এসেছিল। সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র থাকলেও তাদের হাবভাব দেখে সিআরপিএফ বলে মনে হয়নি। তারা ভোটারদেরও প্রভাবিত করছিল। তাই আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। ২০২২সালের ৩ডিসেম্বর বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল অর্জুননগর পঞ্চায়েতের নাড়ুয়াবিলা। বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না সহ তিনজন মারা যান। পরবর্তীকালে নাড়ুয়াবিলায় এনআইএর আধিকারিকদের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় দুই তৃণমূল নেতা গ্রেপ্তার হন। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি। তবে এখানে তৃণমূল দাপিয়ে ভোট করেছে। বিজেপিকে মাঠে দেখাই যায়নি। যদিও সকালে নাড়ুয়াবিলার ২০০নম্বর বুথে তাদের পোলিং এজেন্টকে তৃণমূলের লোকজন বসতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ বিজেপির। নাড়ুয়াবিলায় যান বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারী। তাঁর হস্তক্ষেপে বিজেপির পোলিং এজেন্ট বসেন। তৃণমূল নেতা মানব পড়ুয়ার দাবি, বিজেপি এজেন্ট খুঁজে পাচ্ছিল না বলেই বসাতে পারছিল না। বাধার অভিযোগ ভিত্তিহীন।
বরোজ পঞ্চায়েতের কায়েমগেড়িয়া বুথে তৃণমূলের লোকজন বিজেপির পোলিং এজেন্টকে মারধর করে। পাল্টা বিজেপির লোকজনের মারে তৃণমূলের কয়েকজন জখম হয়েছেন। ঘোলবাগদা বুথে তৃণমূলের পোলিং এজেন্ট বসতেই দেওয়া হয়নি। অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি মিহির ভৌমিক বলেন, অনুপম মান্না ও হরিপদ মাইতি বুথে পোলিং এজেন্ট হিসেবে বসতে গিয়েছিলেন। বিজেপি কর্মীরা তাঁদের মেরে তাড়িয়ে দেয়। তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পীযূষ পণ্ডা ও মুখপাত্র অপরেশ সাঁতরা বলেন, বিজেপি ভগবানপুরের বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাস করার চেষ্টা করলেও সফল হয়নি। ইটাবেড়িয়ার কয়েকটি এলাকায় ভোটারদের বুথে যেতে বাধা দিয়েছে। মানুষ সবকিছু উপেক্ষা করে ভোট দিয়েছেন। উত্তম বারিক নিশ্চিত জিতছেন। ভগবানপুরের বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, তৃণমূল অনেকগুলি বুথে গণ্ডগোল পাকানো, ছাপ্পা মারার চেষ্টা করেছে। তবে সুবিধা করতে পারেনি। মানুষ আতঙ্কের পরিবেশের মধ্যেই ভোট দিয়েছে। তবে, অনেকে ভয়ে বুথমুখো হননি।