উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম সৌমি ঘোষ। মেমারি থানার শঙ্করপুরে তাঁর বাপেরবাড়ি। তাঁর স্বামী এনডিআরএফের জওয়ান। তিনি ভিনরাজ্যে রয়েছেন। সৌমি সাতমাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ১০সেপ্টেম্বর সকালে তাঁকে মেমারির একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। গর্ভস্থ সন্তান ও সৌমি ভালো আছে বলে জানান চিকিৎসক। সেদিনই রাতে তাঁর বুকে যন্ত্রণা শুরু হওয়ায় ফের ওই নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। একটি ইঞ্জেকশন দিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হলেও বাড়ি ফেরার পর তাঁর যন্ত্রণা আরও বাড়ে। চিকিৎসককে জানানোয় তাঁকে অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়। এরপর পরিবারের লোকজন তাঁকে বর্ধমানের বামবটতলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে তাঁকে অক্সিজেন দেওয়া হয়। পরে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়। হাসপাতালে আনা হলে তাঁকে অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। এরপর পরিজনরা তাঁকে বামবটতলার আর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসেন। বেড নেই বলে সেখান থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে শহরের একটি নার্সিংহোম ও পরে শহরের ঘোরদৌড়চটির একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কোথাও ভর্তি না নিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বধূর স্বামীর কমান্ডিং অফিসার ফোন করে জেলাশাসককে ভর্তির ব্যবস্থা করার জন্য বলায় বর্ধমান মেডিক্যালে ভর্তি নেওয়া হয়। কিন্তু মিনিট কুড়ির মধ্যে তিনি মারা যান। মেমারি থানার এক অফিসার বলেন, মামলা রুজু হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার কুণালকান্তি দে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। এনিয়ে তদন্ত হবে। রোগীকে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। করোনা পরিস্থিতিতেও রোগী ভর্তি নেওয়া হয়েছে। তবে, রোগীর অবস্থা খুব খারাপ ছিল। তাঁর অন্যান্য শারীরিক সমস্যাও ছিল।