উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অর্জুন বিভিন্ন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতে যেতেন। বছর পাঁচেক আগে অর্জুন পার্শ্ববর্তী রাজাপুর গ্রামে বিয়ে করেন। তাঁদের একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে। অর্জুন ভিন রাজ্যে কাজে গেলেই তাঁর স্ত্রী বাপেরবাড়ি চলে যেতেন। তা নিয়ে বছর খানেক ধরে সংসারে অশান্তি চলছিল। লকডাউনের পর তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। এখানে ফিরে স্থানীয় একটি পাওয়ারলুমে শ্রমিকের কাজ শুরু করেন অর্জুন। ১৮ সেপ্টেম্বর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল অশান্তি হয়। স্ত্রী প্রচণ্ড চেঁচামেচি করেন। তখন রাগ সামলাতে না পেরে অজুর্ন স্ত্রীকে চড়-থাপ্পড়ও মারেন। তারপরই রাগে শিশুকে নিয়ে বাপেরবাড়ি চলে যান অর্জুনের স্ত্রী।
পরের দিন দুই দাদাকে সঙ্গে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি আসেন। অভিযোগ, সেই সময় অর্জুনকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়। প্রতিবেশীদের সামনেই এই ঘটনা ঘটে। তবে পারিবারিক ব্যাপার বলে কেউ নাক গলাতে চাননি। অর্জুনকে মারধর করার পর তাঁর স্ত্রী ঘরের কিছু জিনিসপত্র নিয়ে ফের বাপেরবাড়ি চলে যান। নাদনঘাট থানায় বিষয়টি মৌখিকভাবে তাঁর স্ত্রীর উপর অত্যাচারের কথা বাপের বাড়ির লোকজন জানায়। তার পরিপ্রেক্ষিতে এক পুলিস অফিসার অর্জুনকে থানায় ডেকে সমঝে দেন। যদিও পুলিস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এই ঘটনার পর থেকেই অর্জুন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। সোমবার বিকেলে স্ত্রী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বাড়িতে এসে মারধরের কথা তিনি মোবাইলে ভিডিও রেকর্ড করেন। এরপর সেই ভিডিও কয়েকজন পরিচিতর কাছে পাঠিয়ে দেন। ওই রাতেই ঘরের মধ্যে যুবক গলায় দড়ি নেন। পুলিস তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে।
অর্জুনের বাবা দ্বিজেন দেবনাথ বলেন, আমি দিনমজুরের কাজ করি। বেশিরভাগ সময় বাড়ির বাইরে থাকি। কয়েকদিন আগে ছোট ছেলের শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমাদের বাড়িতে এসে ওকে মারধর করে। এর আগেও দু’বার মারধর করেছিল। ছেলে বড় হয়েছে। তাই ওদের সাংসারিক বিষয় নিয়ে আমি কোনও কথা বলতাম না। তবে, ওরা দিন তিনেক আগে ছেলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছিল বলে শুনেছি। মৃতের বউদি মনিকা দেবনাথ বলেন, বাড়িতে এসে ওরা অজুর্নকে মারধর করে গেল। কিন্তু কেউ কোনও প্রতিবাদ করল না। তাই ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল। তবে, ও যে চরম সিদ্ধান্ত নেবে তা ভাবতে পারিনি।