উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
পূর্ব বর্ধমান জেলার উপর দিয়ে ৭২ কিলোমিটার ২ নম্বর জাতীয় সড়ক রয়েছে। জানা গিয়েছে, এর মধ্যে বর্ধমানের ফাগুপুর, শক্তিগড় এবং জৌগ্রাম মিলিয়ে মাত্র তিনটি জায়গায় নির্দিষ্ট ট্রাক লে-বে রয়েছে। সেগুলি ১০০ মিটার করে লম্বা। জাতীয় সড়কের যা লরির চাপ, সেই তুলনায় এই তিনটি ট্রাক লে-বে খুবই কম। তাই বাধ্য হয়ে বহু লরি যেখানে ফাঁকা পাচ্ছে সেখানেই দাঁড়িয়ে পড়ছে। দাঁড়িয়ে থাকা লরির সমস্ত আলোও নেভানো থাকে। ফলে, দূর থেকে বোঝা যায় না কোনও গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। হাইওয়েতে প্রতিটি গাড়ির গতিবেগ বেশি থাকে। ফলে, দুর্ঘটনাও ঘটছে। পুজোর সময় থেকে গোটা শীতজুড়ে এই সমস্যা আরও বাড়ে। ঘন কুয়াশার জন্য রাস্তা ভালো করে দেখা যায় না। সেই সময় লরি দাঁড়িয়ে থাকলে বিপদ আরও বেড়ে যায়।
মাস কয়েক আগেই বর্ধমানে মহিলা ক্রিকেট দলের একটি গাড়ি লরির পিছনে ধাক্কা দিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। কিছুদিন আগেই হুগলিতে একইভাবে দাঁড়িয়ে থাকা লরির পিছনে ধাক্কা দিয়ে এক মহিলা পুলিস আধিকারিক সহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিস সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, দুর্ঘটনা রুখতে ৭২ কিলোমিটারের মধ্যে আমরা ১০টি ট্রাক লে-বে তৈরি করার জন্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি। বিষয়টি তারা দেখছে।
এ ব্যাপারে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের প্রজেক্ট ডিরেক্টর (দুর্গাপুর) স্বপনকুমার মল্লিক বলেন, ট্রাক লে-বে’র সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পানাগড় থেকে ডানকুনি পর্যন্ত মোট ১৯টি ট্রাক লে-বে তৈরি করা হবে। তাতে কোনও সমস্যা থাকবে না। তবে, শীঘ্রই ফোর লেন সম্প্রসারণ করে ছয় লেন করা হবে। তার টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। তাই ছয় লেনের কাজ হওয়ার পরই ওই ১৯টি ট্রাক লে-বে তৈরি করা হবে। সেখানে পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও থাকবে।