উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
বীরভূমের এডিএফও বিজনকুমার নাথ বলেন, আজ থেকে বল্লভপুর অভয়ারণ্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে খোলা হবে। থার্মাল গান দিয়ে তাপমাত্রা মাপা হবে। পর্যটকদের মাস্ক পরতেই হবে। অনলাইনে টিকিট কাটার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বভারতীতে এবার বসন্তোৎসই বন্ধ ছিল। পরে গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ই বন্ধ হয়ে যায়। লকডাউনের জেরে শান্তিনিকেতন পর্যটক শূন্য হয়ে যায়। তবে আনলক পর্ব শুরু হতে করোনার দাপট কিছুটা শিথিল হতে থাকে। তার জেরেই শান্তিনিকেতনে ফের পর্যটকের আনাগোনা শুরু হয়।
জানা গিয়েছে, পর্যটকরা শান্তিনিকেতনে এলেই বিশ্বভারতীতে রবীন্দ্রভবনে থাকা মিউজিয়াম, আশ্রম প্রভৃতি স্থান ঘুরে দেখেন। তাছাড়া বিশ্বভারতীর অন্যান্য স্থানেও পর্যটকরা ঘুরতেন। কিন্তু, করোনার জেরে তা এখনও বন্ধ। এর ফলে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত স্থান উপভোগ করতে না পেরে পর্যটকদের অনেকেই হতাশ হচ্ছেন। সোনাঝুরি হাটও স্বাভাবিক হয়নি। তার জেরে পর্যটকরা সেখানেও আগের মতো হস্তশিল্প কেনাকাটা করার সুযোগ পাচ্ছেন না।
দীর্ঘ লকডাউনে ব্যবসা মার খায় হোটেল, লজ ব্যবসায়ীদেরও। গাড়ি ব্যবসাতেও ভাটা পড়ে। শান্তিনিকেতন এলাকায় বহু টোটো চলাচল করে। পর্যটকদের একটা বড় অংশ শান্তিনিকেতনে এসে বিভিন্ন জায়গায় টোটোয় চেপে ঘুরে বেড়ান। লকডাউনে সেই টোটোচালকদেরও সমস্যায় পড়তে হয়েছে। কিন্তু, এবার ধীরে-ধীরে ছন্দে ফিরছে শান্তিনিকেতন। বিশ্বভারতী না খুললেও পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে ডিয়ার পার্ক।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুর-শান্তিনিকেতনের স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি পর্যটকরাও ওই ডিয়ার পার্ক দেখতে ভিড় জমাতেন। তাছাড়া লকডাউনের পর হরিণের আরও নতুন অতিথি নিয়ে আবারও খুলছে অভয়ারণ্য। বল্লভপুর অভয়ারণ্যে লকডাউনের আগে প্রায় ৩৫০টি হরিণ ছিল। বোলপুরের রেঞ্জার কেশব চক্রবর্তী বলেন, লকডাউনের সময় স্বাভাবিক নিয়মে অভয়ারণ্যে হরিণদের প্রজনন হয়েছে। বর্তমানে সেখানে প্রায় ৪০০টি হরিণ আছে। সমস্ত করোনা বিধি মেনে আজ, বুধবার থেকে পর্যটকদের জন্য ডিয়ার পার্ক খুলে দেওয়া হবে। তবে, হরিণদের কাছে কোনও পর্যটকই যেতে পারবেন না। শুধু রাস্তায় যেতে-যেতে হরিণ দেখতে পারবেন।
বনদপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গত ২০১৯-’২০ আর্থিক বর্ষে বল্লভপুর অভয়ারণ্যে টিকিট বিক্রি করে দপ্তরের প্রায় ৩০লক্ষ টাকা আয় হয়েছিল। গত মার্চের পর থেকে লকডাউন হওয়ায় বনদপ্তরের ভাঁড়ার এখনও শূন্য। বল্লভপুর অভয়ারণ্যে যেতে সাধারণের জন্য টিকিটের দাম নেওয়া হয় ৫০টাকা। পড়ুয়াদের জন্য অবশ্য টিকিটের দাম পাঁচ টাকা। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত ডিয়ার পার্ক খোলা থাকে। পার্ক খুললে সেখান থেকে ফের আয় শুরু হবে বলে আশা বনদপ্তরের।
বোলপুর-শান্তিনিকেতনের হোটেল ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক প্রসেনজিৎ চৌধুরী বলেন, অভয়ারণ্য খুললে পর্যটকরা আসতে পারবেন। তবে খোয়াই হাট খুললে আরও বেশি পর্যটক বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হোটেল ব্যবসাতেও কিছুটা লাভ হতে পারে।