শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ
তৃণমূল কংগ্রেসের আলিপুরদুয়ার-২ ব্লক সভাপতি দেবজিৎ সরকার বলেন, জয়পুরে প্রায় ৫০ ফুটের মতো মাটির রাস্তা ভেঙে যায়। এতে রাতেই নদীর জল গ্রামে ঢুকতে থাকে। ঘরবাড়ি জলমগ্ন হয়ে আছে। গৃহপালিত পশুও জলের তলায় আছে। আমরা বিষয়টি বিডিও’কে জানিয়েছি।
আলিপুরদুয়ার জেলা সেচ দপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার প্রিয়ম গোস্বামী বলেন, ২ নম্বর ব্লকের জয়ন্তী নদীর বাঁধ ভাঙার ব্যাপারে কেউ আমাদের জানাননি। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখব। পঞ্চায়েতে সমিতির সভাপতি তৃণমূলের অনুপ দাস বলেন, গ্রামবাসীদের সহযোগিতার জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিডিও মহম্মদ আসিফ খান বলেন, আমরা খবর পাওয়া মাত্রই গ্রামে টিম পাঠাই। ওঁদের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
জয়ন্তী নদীর ভাঙন আটকাতে সেচ দপ্তর বোল্ডার দিয়ে তিনকিমি একটি বাঁধ তৈরি করেছিল। বাসিন্দাদের সুবিধার জন্য ওই বাঁধের উপরেই গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ একটি মাটির রাস্তা বানিয়ে দিয়েছিল। বুধবার রাতে ভারী বৃষ্টিতে মাটির রাস্তাটি পুরোটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জয়পুরে রাস্তা ভেঙে জয়ন্তী নদীর জল হু হু করে গ্রামগুলিতে ঢুকে যায়। জয়ন্তী নদীর জলের স্রোতে দক্ষিণ শিবকাটায় একটি বিদ্যুতের খুঁটি মাটিতে পড়ে গিয়েছে।
জয়পুর এবং জিৎপুর গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, রাতেই রাস্তা ভেঙে জয়ন্তী নদীর জল গ্রামে ঢুকে যায়। চাপড়েরপাড়-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের আটটি বুথের মধ্যে দ্বীপচর, চালনিরপাক, চেংপাড়া, পাঁচমানপাড়ায় জল ঢুকছে। চাপড়েরপাড় এবং চণ্ডীরঝাড় গ্রামের আংশিক অংশ প্লাবিত হয়। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের প্রকাশ রায় সরকার বলেন, দ্বীপচরের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে জল ঢুকেছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফ থেকে তাঁদের শুকনো খাবার বণ্টন করা হয়েছে।