শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ
জেলাশাসকের কনফারেন্স হলে ওই বৈঠকে সমিতির চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায়, জেলাশাসক পবন কডিয়ান, মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল সুকুমার বসাক সহ পদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষ করে আরকেএসের চেয়ারম্যান বলেন, কোভিড পরিস্থিতির কারণে কিছুদিন রোগীকল্যাণ সমিতির বৈঠক করা যায়নি। এদিন সেই বৈঠকটি করা হয়। আমরা মেডিক্যালের পরিষেবা উন্নয়নের বেশকিছু বিষয় খতিয়ে দেখব। তাই গোটা আরকেএস টিম এরমধ্যেই হাসপাতাল পরিদর্শনে যাবে। আমাদের মনে হয়, কোভিড-১৯ এখনই নির্মূল হচ্ছে না। এদিকে বর্ষা চলে এসেছে। সেই কারণে আমরা মেডিক্যালের ফিভার ক্লিনিকের পরিকাঠামো শক্তপোক্ত করতে চাইছি। এদিনের বৈঠকে বেশকিছু বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। কিছু প্রস্তাব এসেছে। আমরা কিছু বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফিভার ক্লিনিককে হাসপাতালের আউটডোর থেকে আলাদা করে দিয়েছিল। পাশাপাশি বেশকিছু রোগের চিকিৎসার আউটডোরকেও পৃথক করা হয়েছিল। হাসপাতালে রোগীর আত্মীয়দের প্রবেশ ও যত্রতত্র ঘুরে বেড়ানোর উপরে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এর ফলস্বরূপ মেডিক্যাল থেকে কোনও সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি। যে সময় ফিভার ক্লিনিক তৈরি করা হয়েছিল তখন সেটি কাপড় দিয়ে অস্থায়ী প্যান্ডেল করে জায়গাটিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। এবার সেই জায়গাতেই শেড দেওয়া হবে। এদিকে হাসপাতালের ভিতরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হচ্ছে। বিভিন্ন অংশে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন, সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। মেডিক্যাল কলেজের ভিতরে ক্যান্টিন তৈরি করা সহ আরও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়। মেডিক্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতাল চত্বরে এখন বেশকিছু সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। ওই সিসিটিভির সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা হবে।
শুধুমাত্র মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিষয় নয়, বৈঠকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়েও আলোচনা হয়েছে। পার্থবাবুর দাবি, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের পরিষেবা পাওয়া নিয়ে সম্প্রতি বেশকিছু অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। যাঁরা ওই কার্ড নিয়ে হাসপাতাল কিংবা নার্সিংহোমে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন তাঁরা ঠিকঠাক পরিষেবা পাচ্ছেন কি না সেটাও ধরাবাহিকভাবে পর্যালোচনা করা হবে বলে চেয়ারম্যান জানিয়েছেন।