শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ
স্থানীয়রা বলেন, ময়নাগুড়ি শহিদগড় স্কুলপাড়ায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দুই বড়মাপের নেতার বাড়ি। অথচ এই পাড়ার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে আছে। রাস্তা এতটাই খারাপ যে মুর্মূষু রোগীকে নিয়ে যানবাহন চালকরা ওই রাস্তা দিয়ে যেতেই ভয় পান। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা বেহাল থাকায় এলাকাজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকার বাসিন্দা তথা পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি তৃণমূল কংগ্রেসের সুভাষ বসু বলেন, ময়নাগুড়ি ব্লকের বহু রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। শহিদগড়ের রাস্তাটি চলাচল অযোগ্য অবস্থায় আছে। আমি চাইছি, এই রাস্তা মেরামতের দিকে জেলা পরিষদ নজর দিক। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। আমাকে সদর এলাকার রাস্তার বিষয়ে অনেকেই অভিযোগ করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা পঞ্চায়েতে সমিতির বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ মিতু চক্রবর্তী বলেন, আমি বেহাল রাস্তার বিষয়ে জেলা পরিষদকে জানিয়েছি। করোনা পরিস্থিতির কারণে এতদিন কাজ করা সম্ভব হয়নি। আমি আশাবাদী, ভাঙা রাস্তা সংস্কারের ব্যাপারে পরিষদ দ্রুত পদক্ষেপ নেবে। তবে এটা সত্যি একবছর আগে রাস্তার যে কাজ হয়েছিল তা নিম্নমানের।
জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ গোবিন্দ রায় বলেন, যখন কাজ হয়েছিল তখন এলাকার লোকদের বলা হয়েছিল কাজ দেখে নেবেন। ঠিকাদার খারাপ কাজ যেহেতু করেছিল, তখনই কাজ বন্ধ করে দিতে হতো। দেড় বছরের মধ্যে শহিদগড়ের রাস্তা বেহাল হয়ে গিয়েছে। সত্যিই এটা মেনে নেওয়া যায় না। ক’দিন পর স্কুল খুলবে। তাই আমরাও চিন্তায় আছি। অন্যান্য রাস্তাও ধাপে ধাপে সংস্কার করা হবে।
ময়নাগুড়ির শহিদগড়ের রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন হাট, বাজারে লোকজন যাতায়াত করেন। শহিদগড় হাইস্কুলের শতাধিক ছাত্রছাত্রী স্কুলে যায়। প্রতিদিন অসংখ্য গাড়ি, টোটো, রিকশ, ভ্যান এই রাস্তা দিয়ে চলে। সদর এলাকার কয়েকটি রাস্তা এতটাই ভেঙে আছে জীবনের যে ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে।